২০১৮ সালে ভারত ও বাংলাদেশকে নিয়ে নিদাহাস ট্রফি আয়োজন করেছিল শ্রীলঙ্কা। তিন জাতির সেই সিরিজে মাতোয়ারা হয়ে উঠেছিল গোটা ক্রিকেট দুনিয়া।
এখনও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মূল লড়াইটা ধরা হয় দ্বিপাক্ষিক সিরিজকে। বৈশ্বিক আসরের সংখ্যা বাড়ছে বটে কিংবা ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটও দখল করছে ক্রিকেট ক্যালেন্ডারের বড় একটা সময়,
তবে দ্বিপাক্ষিক আন্তর্জাতিক সিরিজের আবেদন এখনও কমেনি। যদিও ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা মনে করেন, এই দ্বিপাক্ষিক সিরিজের কোনো ভবিষ্যৎই নেই।
৩৫ বছর বয়সী এই সুপারস্টার তাই জোর দিয়েছেন ত্রিদেশীয় ও চতুর্দেশীয় সিরিজের ওপর।ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের কারণে এখন বড় একটা সময় ক্রিকেটাররা টানা খেলার মধ্যে থাকেন। এর ওপর জাতীয় দলের খেলা তো আছেই।
দ্বিপাক্ষিক সিরিজে খেলার ফাঁকে সেভাবে বিরতি পাওয়া যায় না। রোহিত তাই চান, আগের মত ত্রিদেশীয় ও চতুর্দেশীয় সিরিজ ফিরে আসুক, যা ক্রিকেটারদের খেলার ফাঁকে দম নেওয়ার সুযোগ দেবে।
রোহিত বলেন, ‘যে ম্যাচগুলো আমরা খেলি, সবই চাপের। দেশের হয়ে খেলতে নামলে প্রত্যেকেই চায় নিজেদের সবটুকু উজাড় করে দিতে। এ নিয়ে কেউই আপোষ করতে চায় না। দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে গেলে দুটি ম্যাচের মাঝের সময় আরও একটু বেশি রেখে সূচি সাজাতে হবে। শুধু ভারত নয়, সব বোর্ডের ক্ষেত্রেই এটা প্রযোজ্য।’
রোহিত মনে করেন, আন্তর্জাতিক খেলার ফাঁকে বিরতি বাড়লে তা ক্রিকেটারদের আরও ভালো পারফর্ম করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে। তার ভাষায়, ‘এটা হলে ক্রিকেটাররা নিজেদের সেরাটা আরও বেশি নিংড়ে দেবে। প্রত্যেক ম্যাচ খেলার জন্য উৎসাহী হবে। একনাগাড়ে ম্যাচ খেললে ওয়ার্কলোড নিয়ে ভাবতে হয়।
দর্শকরা চায় সেরা ক্রিকেটাররাই খেলুক। সূচি ঠিক থাকলে আমাদের খেলতে কিন্তু কোনো অসুবিধা নেই।’রোহিত ভেবেছেন, ৩ বা ৪ দেশের সিরিজ-টুর্নামেন্টগুলো ফিরে আসলে একদিকে যেমন রোমাঞ্চ বাড়বে, সেই সাথে ক্রিকেটাররাও বিশ্রামের সুযোগ পাবেন। তিনি বলেন, ‘দ্বিপাক্ষিক সিরিজ আয়োজন করতে হলে আরও ভালোভাবে ব্যবস্থাপনা করা প্রয়োজন।
সূচি এমনভাবে তৈরি করতে হবে যাতে ফাঁকে ফাঁকে কিছু বিরতি থাকে। ছোটবেলায় ক্রিকেট খেলতে খেলতে বেড়ে ওঠার সময় দেখতাম অনেক ত্রিদেশীয় বা চতুর্দেশীয় সিরিজ হত। এখন সেগুলো পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আমার মনে হয়, এই সিরিজগুলোই ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ। এতে প্রতিটি দলের কাছে ঘুরে দাঁড়ানোর যথেষ্ট সময় থাকে।’
রোহিতের দাবির পক্ষে অবশ্য অনেকেই মত দিয়েছেন। ২০১৮ সালে ভারত ও বাংলাদেশকে নিয়ে নিদাহাস ট্রফি আয়োজন করেছিল শ্রীলঙ্কা। তিন জাতির সেই সিরিজে মাতোয়ারা হয়ে উঠেছিল গোটা ক্রিকেট দুনিয়া। দ্বিপাক্ষিক সিরিজে উত্তেজনার পারদ এতটা ওঠে না, যতটা সেই নিদাহাস ট্রফিতেই উঠেছিল। এছাড়া দলগুলোর খেলার সংখ্যায় সমতা রাখতে রোহিতের কণ্ঠে সুর মিলিয়ে অনেক সমর্থকই বলছেন, ক্রমেই বাড়ানো উচিৎ ত্রিদেশীয় ও চতুর্দেশীয় সিরিজের সংখ্যা।