মুস্তাফিজুর রহমানের দিল্লী ক্যপিটালস আবারও হেরে বসেছে। লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টের বিপক্ষে হেরে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে হেরে বসল দিল্লী।
আইপিএলের ১৫তম ম্যাচে দিল্লী মাঠে নামে লক্ষ্ণৌয়ের বিপক্ষে। এদিন প্রথমে ব্যাটিং করতে নামা দিল্লীর হয়ে ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন পৃথ্বী শ।
মাত্র ৩৪ বল মোকাবেলায় ৯টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে পৃথ্বী খেলেন ৬১ রানের ইনিংস। তবে টপ অর্ডারে ব্যর্থ ছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার এবং রভম্যান পাওয়েল।
অধিনায়ক রিশাব পান্ত এবং সরফরাজ খান মিলে ইনিংসের বাকি সময় ক্রিজে থিতু হয়ে দলের স্কোর বড় করতে থাকেন।
শেষ পর্যন্ত পান্তের ৩৬ বলে ৩৯ রানের অপরাজিত ইনিংসের সাথে সরফরাজের ২৮ বলে ৩৬ রানের ইনিংসে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৪৯ রানের মাঝারী সংগ্রহ পায় দিল্লী।
১৫০ রানের লক্ষ্যে খেলতে নামা লক্ষ্ণৌ এদিন ওপেনিং জুটিতেই স্কোরবোর্ডে পায় ৭১ রান। এই জুটি বিচ্ছিন্ন হয় ২৫ বলে ২৪ রান করে লোকেশ রাহুল সাজঘরে ফিরে গেলে।
তবে কুইন্টন ডি কক ব্যাট হাতে দ্রুত গতিতে রান তুলতে থাকেন। ৫২ বলে ৮০ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে কক সাজঘরে ফিরে গেলে শেষ দুই ওভারে লক্ষ্ণৌয়ের জয়ের জন্য প্রয়োজন হয় ১৯ রানের।
১৯তম ওভারে এসে মুস্তাফিজ ১৪ রান ব্যয় করে গেলে শেষ ওভারের ২ বল হাতে রেখেই ৬ উইকেটের জয় পায় লক্ষ্ণৌ। বল হাতে এদিন মুস্তাফিজ ৪ ওভারে ২৬ রান ব্যয় করলেও কোনো উইকেটের দেখা পাননি।
এদিকে লক্ষ্ণৌর বিপক্ষে ম্যাচ হারের পর দিল্লীর অধিনায়ক রিশাব পান্ত বলেন, ‘’মাঠে শিশির থাকায় এখন আপনি আসলে অভিযোগ করতে পারবেন না।
ব্যাটিংয়ে আমরা ১০-১৫ রান কম করেছিলাম। শেষের দিকে জেসন হোল্ডার ও আভেস যেভাবে বল করেছে তার জন্য কৃতিত্ব দিতেই হবে। আমরা শেষ বল পর্যন্ত নিজেদের শতভাগ দিয়ে চেষ্টা করেছি। পাওয়ার প্লেতে ভালো ছিল। আমরা কোনো উইকেট পাইনি পাওয়ার প্লেতে। মাঝখানে আমাদের স্পিন আক্রমণ ভালো ছিল। কিন্তু আমাদের ১০-১৫ রান কম হয়েছে।‘’