একই বিভাগে পড়াশুনার কারণে গভীর বন্ধুত্ব থেকে শা’রী’রিক স’ম্পর্ক: চা’ঞ্চল্যকর স্বী’কারো’ক্তি

রাজধানীর বেস’রকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই ছা’ত্রীর স’ঙ্গে মাত্র একবার শা’ রী রিক স’ম্পর্ক হয়েছে বলে আ’দালতে স্বী’কারো’ক্তিমূলক জ’বানব’ন্দি দিয়েছে তারই বন্ধু মর্তুজা রায়হান চৌধুরী। এর আগে তারা ৫ ত’রুণ-ত’রুণী মি’লে ম ‘দ পান করেছিলেন। এরপর কয়েক দফা ব’মি করেন সেই ছা’ত্রী। এরমধ্যেই আরেক বা’ন্ধবীর মোহাম্ম’দপুরের বাসায় রাতে একবার শা ‘রী রিক স’ম্পর্ক হয় তাদের। এসবের পরই অ’সু’স্থতা বোধ করলে হা’সপাতা’লে নেওয়ার পর মা ০’রা যান সেই ছা’ত্রী। একই ম ০’দের পার্টিতে অংশ নেওয়া তাদেরই আরেক বন্ধু আরাফাত মা ০’রা যান ওই ছা’ত্রীর আগেই। ছা’ত্রীর মৃ ০’ত্যুর ঘটনায় ‘ধ”..’ মা ০’মলা দা’য়ের করেন তার বাবা।

শনিবার (০৬ জানুয়ারি) রি’মা’ন্ডের পর আ’দালতে স্বী’কারো’ক্তিমূলক জ ‘বানব’ন্দির কথা জানা যায়। গত শুক্রবার (০৫ জানুয়ারি) ৫ দিনের রি’মান্’ডে শেষে মর্তুজা চৌধুরী রায়হানকে আ’দালতে হা’জির করা হয়। ওই সময়েই তিনি আ’দালতে স্বী’কারো’ক্তিমূলক জ ‘বানব’ন্দি দেন। পরে আজ শনিবার (০৬ জানুয়ারি) মা’মলার আরেক আ’সা’মি নুহাদ আলম তাফসিরকে পুলিশ আ’দালতে হা’জির করে। পরে আ’দালত তাফসিরকে কা’রা’গা’রে পাঠানোর নি’র্দেশ দেন।

মোহাম্মদপুর থানার অফিসার ই’নচার্জ (ওসি) আব্দুল লতিফ বলেন, ওই শি’ক্ষার্থীর বন্ধু রায়হান আ’দালতে স্বী’কারো’ক্তিমূলক জ’বানব’ন্দি দিয়েছেন। সার্বিক পরিস্থিতি, ভিডিও ফুটেজ ও অন্যান্য সাক্ষ্য প্রমাণ যাচাই বাছাই করা হচ্ছে। মা ০’রা যাওয়া শি’ক্ষার্থীর বন্ধু রায়হান আ’দালতে স্বী’কারো’ক্তিমূলক জ”বানব’ন্দি দিয়েছেন। জ’বানব’ন্দীতে তিনি ওই ত’রুণীর সঙ্গে ১ বার শা’রী’রিক স’ম্পর্ক হওয়ার কথা স্বী’কার করেছেন। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন বন্ধুত্বের স’ম্পর্ক ধরে তাদের মধ্যে একাধিকবার শা’রী’রিক স’ম্পর্ক হয়েছে। তবে তাদের বন্ধু তাফসিরের সঙ্গে ম ‘দপা’ন বা অন্যান্য ঘটনার সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া যা’য়নি বলে তাকে আ’দালত কা’রাগা’রে রাখার নি’র্দেশ দেন।

আ’দালত সূত্র জানায়, জ’বানব’ন্দিতে তিনি বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে একই বিভাগে পড়াশুনা করার কারণে রায়হানের সঙ্গে ওই ছাত্’রীর গভীর স’ম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ২৮ জানুয়ারি বিকালে দেখা করার পরিকল্পনা করেছিলেন। এদিন বিকালে তারা হাতিরপুলের মোতালেব প্লাজার সামনে একত্রিত হন। সেখানে তাদের সঙ্গে দেখা হয় তাদের বন্ধু আরাফাতের। সেখানে আরাফাত তাদেরকে গুলশানে একটি রেস্টুরেন্টে দাওয়াত আছে বলে নিমন্ত্রণ দেন। গুলশানে যাওয়ার পর আরাফত তাদেরকে জানান যে রেস্টুরেন্টের লোকেশন একটু বদল হয়েছে। উত্তরায় ৩ নম্বর সেক্টরে ব্যাম্বু সুট রেস্টুরেন্টে তারা মিলিত হবেন। সন্ধ্যার আগে তারা ব্যাম্বু সুট রেস্টুরেন্টে মিলিত হন। সেখানে তাদের সঙ্গে যোগ দেয় বন্ধু ফারজানা জামান নেহা ওরফে ডিজে নেহা এবং সাফায়েত জামিল। রেস্টুরেন্টে তারা ৫ জন একত্রিত হয়ে ম’০’দপান করেন। ম ‘০দ সরবরাহ করে সাফায়েত জামিল।

একপর্যায়ে নেহা অ’সুস্’থ হয়ে পড়ে এবং রেস্টুরেন্টের টয়লেটে গিয়ে বমি করে। তখন নেহা ও সাফায়েত চলে যায়। রেস্টুরেন্টে আরাফাত, রায়হান ও ওই ত’রুণী ম ০’দপান করেন। একপর্যায়ে ওই ত’রুণী ট’য়লেটে গিয়ে ব’মি করে। সেই অবস্থা দেখে রায়হান ও আরাফাত ওই ত’রুণীকে নিয়ে একসাথে রেস্টুরেন্ট থেকে বের হয়ে একটি উবার নেয়। উবারে ওই ত’রুণী ও রায়হানকে গুলশান-২ এ নামিয়ে দেয় আরাফাত।

গুলশান-২ এ নেমে ওই ত’রুণী বলে যে, সে বাসায় যাবে না, তাকে তার বান্ধবী তাফসিরের মোহাম্ম’দপুরের বাসায় নিয়ে যেতে হবে। তখন তারা দুইজন মি’লে মোহাম্ম’দপুর হোমস লিমিটেডের ৯ নম্বর বিল্ডিংয়ের বাসায় যায়। সেই বাসায় তাফসির তার মা ’০র সঙ্গে থাকতো। তবে সেদিন তাফসির একা ছিল। ২৮ জানুয়ারি রাতে তারা তাফসিরের বাসায় ঢুকে। এর পরপরই ওই ত’রুণী ব’মি করে। সেই বমি পরিষ্কার করে তাফসির ও রায়হান। এরপর রায়হান ও ত’রুণীকে এক রুমে রেখে অন্য রুমে চলে যায় তাফসির।

রাতে রায়হান ও ত’রুণীর মধ্যে একবার শা’রী’রিক স’ম্পর্ক হয়। এর পরদিন ভোরে ত’রু’ণীকে ওই বাসায় রেখে রায়হান তার পিসি কালচার হাউজিং এলাকার ৯, প্রবাল হাউজিংয়ের ৫ম তলায় তাদের নিজেদের ফ্ল্যাটে চলে যায়। গত ২৯ জানুয়ারি দুপুরে রায়হান বা’ন্ধবী তাফসিরের বাসায় এসে ত’রুণীর খোঁজ খবর নিয়ে যান। ওই দিন মধ্যরাতে ত’রুণীর শা’রী’রিক অবস্থার অ’বন’তি হলে তাফসিরে এক বন্ধু বাসায় যায়। ওই বন্ধু ত’রুণীকে প্রথমে ইবনে সিনা হাস’পাতালে নিয়ে যান। তবে হাসপাতালে আইসিইউ সুবিধা না থাকায় ৪০ মিনিট পর তাকে আনোয়ার খান ম’ডার্ন মে’ডিক্যাল কলেজ হা’সপাতালে নিয়ে যান। সেখানে আ’ইসিইউতে রাখা হয় ত’রুণীকে। তখন রায়হান ত’রুণীর বা’বাকে ফোন করে এবি’ষয়ে জানায়।

৩০ জানুয়ারি দুপুরে তার বাবা চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় আসেন। ওই দিন রাতে তার বাবা থানায় একটি মা’ ম’লা করেন। পরদিন ৩১ জানুয়ারি ওই ত’রুণী মা ‘০রা যাওয়ার পর পুলিশ তাকে গ্রে’প্তার করে। এরপরই পুলিশ জানতে পারে যে, তাদের আরেক বন্ধু আরাফাত গত ২৯ জানুয়ারি মোহাম্ম’দপুর সিটি হা’সপাতালে মা ০’রা গেছে। হা’সপাতা’লের ফ’রেন’সিক বিভা’গের ম’য়নাত’দন্তকারী চি’কিৎসক ধারণা করছেন, শা’রী’রিক স’ম্পর্কের কারণে নয়, ম ০’দ পানের পর বি’ষক্রিয়া তাদের মৃ ০’ত্যু হয়েছে। কেনোনা ওই ছা’ত্রীর শ’রীরের আ’ঘা’ত বা জ’ খ০ মের কোনো চি’হ্ন পাওয়া যায়নি।