স্পিনার নাইম হাসান জাতীয় দলে জায়গা পাওয়ার পর বেশ কিছু ম্যাচে টানা একাদশে থাকলেও ইনজুরিতে পড়ে ছিটকে যান।
স্পিনারের ঘাটতি না থাকায় নাইমের জায়গাও হচ্ছিল না একাদশে। তবে ভাগ্য প্রসন্ন হয়েছে ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কা সিরিজে এসে। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে শতভাগ সফলতাও পেয়েছেন এই স্পিনার।
লঙ্কানদের বিপক্ষে ঘোষিত প্রথম ম্যাচের স্কোয়াডে নাইমকে রাখা না হলেও মেহেদি হাসান মিরাজ আঙুলের চোটে পড়ায় শেষ পর্যন্ত স্কোয়াডে ঠাই হয় নাইমের।
প্রায় ১৫ মাস পর দলে জায়গা পাওয়া নাইমকে নিয়ে একাদশও সাজায় টিম ম্যানেজমেন্ট। তার উপর রাখা সেই আস্থার প্রতিদানও দিয়েছেন এই স্পিনার। লঙ্কানদের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচের প্রথম ইনিংসে বল হাতে চমক দেখান এই স্পিনার।
যেখানে একাই ৬ উইকেট তুলে নিয়ে লঙ্কানদের ব্যাটিং লাইনআপে ধস নামিয়ে দেন নাইম।ম্যাচের প্রথম দিন শ্রীলঙ্কান তিন ব্যাটারকে সাজঘরে ফেরত পাঠানো নাইম দ্বিতীয় দিনে হয়ে ওঠেন আরও ধারালো।
এক ওভারেই দুই উইকেট তুলে নিয়ে সফরকারীদের চাপে ফেলে দেন তিনি। প্রথম ইনিংসে তার অর্জনের তালিকায় অন্যতম শিকার হয়ে ছিলেন এঞ্জেলো ম্যাথিউস।
টাইগার বোলারদের ধৈর্য্যের পরীক্ষা নিয়ে যখন ম্যাথিউস সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ডাবল সেঞ্চুরির পথে হাঁটেন তখন শেষ মুহূর্তে তাকে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান নাইম। ১৯৯ রান করা ম্যাথিউসকে ফেরত পাঠিয়ে প্রথম ইনিংসে নাইম দখলে নেন মোট ৬টি উইকেট।
এই ৬ উইকেট নিতে নাইম করেছেন ৩০ ওভার। ৪টি মেইডেন সহ নাইম সর্বমোট ব্যয় করেন ১০৫ রান। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে এসে নাইমের হাতে ধরা দেয়নি কোনো উইকেট। ২৩ ওভারের মধ্যে ৫টি মেইডেন সহ তিনি ব্যয় করেছেন ৭৯ রান
এদিকে প্রত্যাবর্তনের এই ম্যাচে নাইমের দুর্দান্ত এই বোলিংয়ের পর ম্যাচের মোস্ট ভেল্যুয়েবল প্লেয়ার নির্বাচিত হয়েছেন নাইম। পুরস্কার হিসেবে নাইমকে দেয়া হয়েছে ১৫০০ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশী মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় দেড় লক্ষ টাকা।