এক ওভারে দুই উইকেট খালেদের টাইগারদের বোলিং তোপে দেখেনিন কত রানে এগিয়ে বাংলাদেশ

সেন্ট লুসিয়া টেস্টে বাংলাদেশ ফল বিবর্ণ ছিল সব দিক থেকেই।টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দারুণ শুরু করেও শেষ পর্যন্ত অলআউট হয় ২৩৪ রানে।

তবে দিনে শেষে বোলিংয়ে আরো বেশি ছন্দহীন ছিল টাইগার বোলাররা।যেখানে ১৬ ওভার হাত ঘুরিয়ে ক্যারিবিয়ানদের কোনো উইকেট তুলতে পারেনি শরিফুল – মিরাজরা।

উল্টো দিনের শেষে ওয়ানডে মেজাজে ব্যাট চালিয়ে ৬৭ রান সংগ্রহ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।তবে ২য় দিনে এসে ধীরে ধীরে খোলস ছেড়ে বেড়েয়ে এসেছে বাংলাদেশের বোলাররা।

দিনে শুরু থেকেই আস্তে আস্তে নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে চাপে রাখে বাংলাদেশের বোলাররা। সেই সুবাদে দলীয় ১০০ রানের মাঠায় প্রথম উইকেট হারায় ক্যারিবিয়ানরা।

যেখানে ওপেনার জন ক্যাম্ভেলের উইকেট তুলে নেন টাইগার পেইসার শরিফুল ইসলাম।তার বলে উইকেট কিপার নুরুল হাসান সোহানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ক্যাম্বেল।

তারপরই ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যানদের এক প্রকার চেপে ধরে বাংলাদেশী বোলাররা।তার ধারাবাহিকতায় অধিনায়ক ক্রেগ ব্রাথোওয়েটকে দারুণ এক বলে ডিরেক্টর বোল্ড করেন টাইগার অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ।

তার বলে ব্রাথোওয়েট আউট হওয়ার আগে পূরণ করেন অর্ধশত রান।তারপরই তান্ডব শুরু করেন আরেক টাইগার পেসার খালেদ আহমেদ।

নিজের করা ১১তম ওভারেই পর পর দুই ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যানকে প্যাভিলিয়নে ফিরান এই পেসার। তার বলে আউট হওয়া দুই ব্যাটসম্যান যথাক্রমে করেন ২২ এবং ০ রান।

২য় দিনের প্রথম সেশনের খেলা শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল পিছিয়ে আছে ৯৭ রানে হাতে আছে ৬টি উইকেট। অন্যদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন আলযারি জোসেফ। এছাড়া দুটি করে উইকেট পেয়েছে জেইডেন সিলস, অ্যান্ডারসন ফিলিপ ও কাইল মেয়ার্স।

বাংলাদেশ একাদশঃ তামিম ইকবাল, মাহমুদুল হাসান জয়,নাজমুল শান্ত, আনামুল হক বিজয়, লিটন কুমার দাস, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), নুরুল হাসান সোহান (উইকেটকিপার), মেহেদী হাসান মিরাজ, এবাদত হোসেন, শরিফুল ইসলাম ও খালেদ আহমেদ।