গত শনিবার (২৫ জুন) পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরেরদিন ২৬ জুন সকাল ৬ টা থেকে টোল দেওয়া শর্তসাপেক্ষে যানবাহন চলাচলার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় সেতু। তবে যানবাহন চলাচলের শুরুর প্রথম দিনই ঘটে বিপত্তি, মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় পদ্মা সেতুতে আহত হন ২ যুবক।
গত ২৬ জুন রাত সাড়ে ১০টার দিকে সেতুর ২৭ ও ২৮ নম্বর পিলারের মাঝামাঝি স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এরপর তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
এর কিছুক্ষন পর আহত আলমগীর হোসেন (২২) ও ফজলু (২১) কে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।এদিকে বুধবার (২৯ জুন) রাতে গণমাধ্যম ও ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, দুটি বাইক পেছন-পেছন চলছে।
কিছু দূর যাওয়ার পর দেখতে পাওয়া যায়, কয়েকজন মানুষ ব্যস্ত রাস্তায় পরে আছেন। প্রথম বাইকটি ডানে মোড় নিয়ে কোনোরকম তাদের কাটিয়ে চলে গেলেও দ্বিতীয় বাইকটি ওই মানুষগুলোকে বাঁচাতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়। তারা দ্রুত গতির কারণে নিয়ন্ত্রণ রাখতে ব্যর্থ হয়। প্রথম বাইকটি ডানে মোড় নিয়ে কোনোরকম চলে গেলেও দ্বিতীয় বাইকটি ওই মানুষগুলোকে বাঁচাতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়।ঘটনার দিন থেকে ধারণা করা হচ্ছিল, মাত্রাতিরিক্ত গতিতে চালাতে গিয়ে ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কা লেগে দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
তবে দুর্ঘটনার সময়কার ওই ভিডিওতে স্পষ্ট যে ট্রাকে বাইকের ধাক্কা লাগেনি। সেতুতে পড়ে থাকা তিনজনের কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। আর সেই তিনজনের সেতুতে পড়ে থাকার কারণ একটি সাদা রঙের মাইক্রোবাস, যেটিকে এখনও শনাক্ত করা যায়নি। এই মাইক্রোটি একটি বাইককে ধাক্কা দিলে তার আরোহীরা সেতুতে পড়ে যান। এই পড়ে থাকা আরোহীদের পাশ কাটিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতেই প্রাণঘাতী পরের দুর্ঘটনাটি ঘটে।