আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৩ টা আলাদা আলাদা দশকে নিজের দেশকে নেতৃত্ব দেয়া ইতিহাসের একমাত্র অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা।
মাশরাফি ২০০০-এর দশকে, ২০১০-এর দশকে এবং ২০২০-এর দশকে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
১৪৩ বছরের ইতিহাসে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা ৭৬ টি দেশের ৫৭৬ জন অধিনায়কের মধ্যে একমাত্র মাশরাফিই তিনটি আলাদা আলাদা দশকে নিজের দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
মাশরাফি বাংলাদেশ ক্রিকেটের এক জলন্ত কিংবদন্তী। তার শুধু খেলার জন্য জীবন টুকুই দেওয়া বাকি। খেলতে গিয়ে তার পায়ের গোরালি থেকে ঘারের মেরুদন্ড পর্য়ন্ত সবই ভেঙ্গেছেন।
তিনি খেলাটাকে এতো ভালো বাসেন তাইতো বাংলার মানুষ তাকে এতো ভালোবাসে।সেই কিংবদন্তী এখন বাংলার ক্রিকেট থেকে অবহেলিত।
বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচে আমি অবসর নিতে চেয়েছিলাম। তখন এমন একটা কথা এসেছিল যে, এভাবে না হোক, সুন্দরভাবে হোক (অবসর)।
দেশে আসার পর যেটা হয়েছে, জিম্বাবুয়েকে কত টাকা (২ কোটি) খরচ করে একটা ম্যাচ আয়োজন করা।তখন আমার মনে হয়েছে, মাশরাফি হয়তো মাঠ থেকে অবসর নেয়া ডিজার্ভ করে।কিন্তু একটা ম্যাচের জন্য ২ কোটি টাকা মাশরাফি ডিজার্ভ করে না।
যেখানে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের এই অবস্থা, সেখানে একটা ম্যাচের জন্য এত টাকা তার প্রাপ্য নয়।তাই আমি তখন অবসর নেইনি। এরপর হয়তো আস্তে আস্তে চিন্তাভাবনায় পরিবর্তন এসেছে।’
আমি অবসর নিতে চাইনি বা নিবো না… এমনটা যদি কেউ দাবি করে তাহলে সামনাসামনি বসতে হবে।আর ঐসময় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সেই ম্যাচের প্রস্তাব কেন নেইনি সেটাও বললাম।
যেখানে আমার প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটারদের মনে কষ্ট আছে, সেখানে আমার একটা ম্যাচের জন্য ২ কোটি টাকা খরচ করাটা ভালো মনে হচ্ছিল না।’
‘একইভাবে আমার কাছে মনে হচ্ছিল, এই ২ কোটি টাকা আমার ওপর ভারী হয়ে যাচ্ছে কি না। এতই ব্যস্ততা যে, দুই কোটি টাকা দিয়ে আমাকে অবসর নেয়াতে হবে। তো এসব জিনিসও আমার মাথায় এসেছে।আপনি যেটা বললেন, জেদ বিষয়টা ঠিক না। তবে এসব জিনিস মাথায় কাজ করেছে। আর আমাকে যে মাঠ থেকেই অবসর নিতে হবে, এমন কোন প্রয়োজনীয়তাও দেখছি না।’