চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম মানেই রান বন্যার উইকেট। যে উইকেটে বোলারদের সাহায্য কম, ব্যাটসম্যানদের রান বন্যায় ভাসিয়ে দেয়।
বিশেষ করে খেলাটি যদি বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে হয়, তাহলে সাগরিকা একটি রানের অফার দেন।আগের অভিজ্ঞতা থেকে শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক করুনারত্নে এবারও সাগরিকায় রান বন্যা দেখছেন।
স্বাভাবিকভাবেই দুই দলের বোলারদের জন্য চট্টগ্রাম কঠিন পরীক্ষাই নেবে। দেখো যাবে কার ধানে কত চাল।এই স্টোডিয়ামে বিষেশ করে বোলিংরা তাদের সেরা ফর্ম দেখাতে পারে না।
কারন এই ক্রিজটই হল ব্যাটিং ক্রিজ যেখানে ব্যাটিংরা দেখাতে পারে তাণ্ডব।ব্যাটিংরা করতে পারে অবিশ্বাস্য স্কোর।আজ চট্টগ্রাম টেস্ট-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে মুখ খুললেন তিনি,
‘এই কন্ডিশন বোলারদের জন্য সহজ নয়। বোলারদের এখানে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। এখানকার উইকেট বোলারদের কিছুই দেবে না।
কিন্তু যদি মাথা খাটিয়ে বোলিং করা যায়। সে ক্ষেত্রে উইকেট মিলতে পারে।’তবে সেটা ২০ উইকেট নেওয়ার জন্য যথেষ্ট হবে কি না,
সেটি জোর গলায় বলতে পারলেন না দিমুথ নিজেও, ‘আজ দেখে মনে হয়েছে উইকেট খুবই ফ্ল্যাট। বোলারদের জন্য তেমন কিছুই নেই।
যেটা বললাম, আমাদের ২০ উইকেট নিতে হবে মাথা খাটিয়ে বোলিং করতে হবে। ব্যতিক্রম কিছু ভাবতে হবে। আমাদের পরিকল্পনাটাও সে রকমই।’
শ্রীলঙ্কা দলের পরিকল্পনার বড় অংশ জুড়ে থাকবেন দলটির নবনিযুক্ত সহকারী কোচ নাভিদ নেওয়াজ। তার ক্রিকেট জ্ঞান কাজে লাগিয়ে ভালো করার আশা দলটির অধিনায়কের।
তিনি বলছিলেন, ‘তার থাকাটা আমাদের জন্য বিরাট সুবিধার ব্যাপার। নেওয়াজের এখানে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে। কন্ডিশনটা তার খুবই ভালো চেনা। আমরা তার কাছ থেকে অনেক কিছু জানতে পারছি। তবে এটাই সব নয়। আমাদের মাঠে ভালো খেলতে হবে।’