জাকির হাসানের দুর্দান্ত শতকে পাত্তা পেল না শক্তিশালী আবাহনী দেখেনিন ম্যাচশেষে ফলাফল

ডিপিএলে মুখোমুখি হয়েছে অন্যতম শক্তিশালী দল আবাহনী লিমিটেড এবং রূপগঞ্জ টাইগার ক্রিকেট ক্লাব।

প্রথমে ব্যাটিং করে আবাহনী বড় স্কোর গড়লেও জাকির হাসানের শতকে ভর করে আবাহনীর বিপক্ষে বিশাল জয় পেয়েছে রূপগঞ্জ।

এদিন প্রথমে ব্যাটিং করতে নামা আবাহনী শুরুটা খুব বেশি ভালো করতে পারেনি রূপগঞ্জের সামনে। আবাহনীর হয়ে ইনিংস উদ্বোধন করতে নামা তানজিদ এবং আব্বাস মুসা মিলে স্কোরবোর্ডে রান জড়ো করার চেষ্টা চালিয়ে গেলেও তারা ব্যর্থ হন।

এই দুই ওপেনারই এদিন প্যাভিলিয়নের পথ ধরেছেন দলের রান ২০ পার হবার আগে। ওপেনিং জুটি ব্যর্থ হবার পর নাইম শেখ ও তৌহিদ হৃদয় মিলে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন।

তবে এই জুটি বড় হতে দেননি মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ। দলীয় ৩৯ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ১১ রানে তৌহিদ হৃদয়কে সাজঘরে ফেরত পাঠিয়ে আবাহনীর তৃতীয় উইকেটের পতন ঘটান এই পেসার।

প্রথম দিকে টপ অর্ডার ব্যর্থ হলেও নাঈম শেখ ব্যাট হাতে বড় স্কোরের দেখা পেয়েছেন। মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকে সাথে নিয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান নাঈম শেখ।

মোসাদ্দেক ৩৭ রানে সাজঘরে ফিরে গেলেও নাঈম শেখ এদিন খেলেছেন ১১৫ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস। তার শতকে ভর করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৫৫ রান করে আবাহনী।

২৫৬ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরু থেকেই দুর্দান্ত পুঁজি পায় রূপগঞ্জ টাইগার ক্রিকেট ক্লাব। ওপেনার জাকির হাসান ও মিজানুরের ব্যাটে এদিন উদ্বোধনী জুটিতে তারা করে ১৬৬ রান।

এই জুটি বিচ্ছিন্ন হয় মিজানুর ৮০ বল মোকাবেলায় শতক থেকে মাত্র ৮ রান দূরে থেকে ব্যক্তিগত ৯২ রানে সাজঘরে ফিরে গেলে।

মিজানুর শতক মিস করলেও জাকির হাসান শতক তলে নিয়েছেন ঠিকই। অপরাজিথকে সাথে নিয়ে জাকির শতকের দিকে এগিয়ে গেলেও ব্যক্তিগত ১১ রানেই মাঠ ছাড়েন অপরাজিথ।

১০৯ বলে সেঞ্চুর হাঁকানো জাকির এরপর আরও দ্রুত গতিতে ব্যাট চালাতে থাকেন। তার সাথে শেষ পর্যন্ত সঙ্গ দিয়েছিলেন ঘরোয়া ক্রিকেটের আরেক নিয়মিত অভিজ্ঞ মুখ মার্শাল আইয়ুব।

জয় থেকে মাত্র ৮ রান দূরে থেকে জাকির ব্যক্তিগত ১১৮ রানের ইনিংস খেলে বিদায় নিলে শেষ পর্যন্ত দলের ৭ উইকেটের জয় নিশ্চিত করেন ফজলে মাহমুদ রাব্বি।