২০২০ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জিতেছিল বাংলাদেশ।সেই বিশ্বজয়ে বড় অবদান ছিল পেসার শরিফুল ইসলামের।
শরিফুল এখন জাতীয় দলে খেলছেন তিন ফরম্যাটেই, যথারীতি এখানেও আলো ছড়াচ্ছেন।যদিও জাতীয় দলের পেস বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ড মনে করেন,
যুব বিশ্বকাপে থাকতেই শরিফুল জানান দিয়েছিলেন নিজের আবির্ভাবের। জাতীয় দলে খেলার আগেই তাকে নিয়ে মাতামাতি শুরু হয়ে গিয়েছিল।
নিজের দেশে বসে ডোনাল্ড তখন দেখেছিলেন শরিফুলের বীরত্বগাঁথা।তিনি বলেন, ‘শরিফুলের পারফরম্যান্সে আমি সত্যিই খুশি, বিশেষ করে ওয়ানডে সিরিজের পারফরম্যান্সে।
দক্ষিণ আফ্রিকায় অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে ওকে আমি দেখেছিলাম। তার বোলিং ছিল নজরকাড়া। বাংলাদেশ যেবার যুব বিশ্বকাপ জেতে, তখনই সে জাত চিনিয়েছে।’
শরিফুল তাই নিয়মিতই বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে তিন ফরম্যাটে খেলছেন। অবশ্য শুধু শরিফুল নন, শরিফুল না থাকলে যারা সামলাচ্ছেন টেস্ট দলের পেস বোলিং ইউনিট, ডোনাল্ড মুগ্ধ তাদের নিয়েও।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে খেলতে পারেননি শরিফুল। তারই মত ইঞ্জুরির কারণে দ্বিতীয় টেস্টে ছিলেন না তাসকিন আহমেদ।
সেই ম্যাচে এবাদত আহমেদ চৌধুরী ও খালেদ আহমেদের বোলিং মুগ্ধ করেছে বোলিং কোচকে।ডোনাল্ড বলেন, ‘আমি মনে করি বড় চমক ছিল এবাদত ও খালেদের বোলিং।
তাদের সামর্থ্য দেখে আমি অবাক হয়েছি। ফাস্ট বোলিং মানে হল প্রচুর সাহস আর একাগ্রতা। আমি এর আগে কখনও কোনো টেস্টে দুই স্পিনার আর দুই পেসার দেখিনি।
তারা যেভাবে নিজেদের কাজ করেছে, বিশেষ করে ডারবান টেস্টে- অসাধারণ। যে একটা ঘণ্টায় আমরা পিছিয়ে গিয়েছিলাম এটা বাদে দক্ষিণ আফ্রিকাকে দুই টেস্টে অলআউট করা দারুণ নৈপুণ্য ছিল।’
সব মিলিয়ে নিজের ইউনিট নিয়ে ডোনাল্ড বেশ খুশি। তার ভাষায়, ‘যা দেখলাম তাতে আমি অনেক খুশি। প্রত্যেক অনুশীলনে আমরা যেসব আলোচনা করছি, যা শিখছি- তা যথেষ্ট। আমরা যেভাবে কাজ করে যাচ্ছি এতে আমি খুশি।