দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ দল।
প্রথম ইনিংসে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে লড়াই চালিয়ে যায়া সম্ভব হলেও দ্বিতীয় ইনিংসে টাইগারার অলআউট হয়েছে মাত্র ৫৩ রানে।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ থেকে ৬৯ রানে এগিয়ে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকা দ্বিতীয় ইনিংস অলআউট হয়েছিল ২০৪ রানে। ফলে টাইগারদের সামনে অয়ের জন্য লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৭৪ রানের। যেখানে প্রথম থেকেই প্রোটিয়া বোলারদের কাছে পরাস্ত হতে থাকে টাইগাররা।
চতুর্থ দিনে ১১ রানে ৩ উইকেট হারানো বাংলাদেশ ম্যাচের শেষ দিনে কেশব মেহেরাজের বোলিং তোপে পড়ে বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্ত ব্যাট হাতে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করলেও তারা সাথে টিকে থাকতে পারেননি বাকিরা।
শান্ত সর্বোচ্চ ২৬ রান করার সাথে তাসকিন আহমেদ ১৪ রানের ইনিংস খেললেও বাকি ব্যাটাররা নিজেদের রান দুই অঙ্কের ঘরে নিয়ে যেতে পারেনি। ফলে দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ৫৩ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ।
এতেই টাইগাররা ম্যাচ হেরেছে ২২০ রানের বড় ব্যবধানে। বল হাতে মেহেরাজ একাই নিয়েছেন ৭টি উইকেট। এছাড়া বাকি ৩তি উইকেত দখলে নিয়েছেন সাইমন হারমার।
এদিকে দখিন আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচ হারের পর টাইগার অধিনায়ক মুমিনুল হক দলের এমন বিপর্যয়ের পর এর দায় দিয়েছেন নিজেদের ব্যাটিং ইউনিটকে। পঞ্চমক দিনের শেষ সেশন পর্যন্ত খেলার পরিকল্পনা থাকলেও চতুর্থ দিনে দ্রুত উইকেট হারানোর কারনকেও দায় দিয়েছেন মুমিনুল।
ম্যাচ শেষে টাইগারদের টেস্ট অধিনায়ক বলেন, ‘’আমরা বলের মেরিট অনুসারে খেলার চেষ্টা করেছিলাম। আমরা চেয়েছিলাম শেষ সেশন পর্যন্ত খেলতে। দূর্ভাগ্যবশত, গতকাল বিকেলেই আমরা তিন উইকেট হারিয়েছিলাম যেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
আমরা স্পিন খেলতে অভ্যস্ত। আমরা এটাও জানি ডারবানে তৃতীয়-চতুর্থ দিন থেকেই স্পিন হওয়া শুরু করে। আমরা ব্যাট হাতে ভালো করতে পারিনি।”
ম্যাচ হারলেও দলের পেস বোলিং ইউনিটের প্রশংসা করে তিনি আরু বলেন, ‘’ আমরা অনেক আলগা শট খেলেছি। প্রথম ইনিংসে আমরা ভালো করেছিলাম। আমাদের বোলাররা দুই ইনিংসেই ভালো করেছে। গত দুই টেস্টেই আমাদের পেস বোলিং বিভাগ ভালো করেছে।
দ্বিতীয় ম্যাচে ঘ্রে দাঁড়ানোর প্রত্যয় ব্যক্ত করে মুমিনুল যোগ করেন, ‘’আমাদের হাতে একটি ম্যাচ আছে। আমাদের শক্তভাবে ঘুরে দাঁড়াতে হবে। আমরা সুযোগগুলো কাজে লাগাতে চেষ্টা করব। নতুনদের জন্য নিজেদের প্রতিভা দেখানোর ভালো সুযোগ হবে এটি।‘’