উইন্ডিজদের কাছে টেস্ট সিরিজ হারার পর টি-টুয়েন্টি এবং ওডিআইতে ঘুরে দারাবে বাংলাদেশ আশাবাদী সাকিব আল হাসান।
২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ জয় এখন দূরের মরীচিকা।এরপর ২০১৪, ২০১৮ ও সবশেষ ২০২২- তিন সফরেই টেস্ট সিরিজে ক্যারিবীয়দের কাছে হোয়াইটওয়াশ হলো বাংলাদেশ।
সেইন্ট লুসিয়ায় সিরিজের শেষ ম্যাচে হেরেছে ১০ উইকেটের বড় ব্যবধানে।দুই ম্যাচের পুরো সিরিজটিতেই বাংলাদেশকে ভুগিয়েছে ব্যাটিং।
চার ইনিংসে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ ছিল মাত্র ২৪৫ রান। দুইশো ছাড়ানো ইনিংস মোটে দুইটি।এছাড়া রয়েছে ১০৩ রানে অলআউট হওয়ার নজিরও।
তবু দলের ব্যাটিং নিয়ে চিন্তিত নন টেস্ট দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। যেহেতু ডিসেম্বরের আগে আর টেস্ট সিরিজ নেই, তাই ঘুরে দাঁড়াতে পারবে দল- এমনটাই বিশ্বাস অধিনায়কের।
দলের কাছে তার চাওয়া মূলত মানসিক দৃঢ়তা। সোমবার ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণীতে সাকিব বলেছেন, ‘আমরা আগে থেকেই জানতাম টেস্ট সিরিজটি কঠিন হবে।
লম্বা সময় পর আমরা ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজ খেলবো।আশা করি আমরা ঘুরে দাঁড়াতে পারবো। আমি ব্যাটিং নিয়ে চিন্তিত নই। মানসিকভাবে আমাদের দৃঢ় হতে হবে।
টেস্ট সিরিজে হারলেও ইতিবাচক দিক হিসেবে পেস বোলিং বিভাগের উন্নতি চোখে লেগেছে সাকিবের।দুই ম্যাচে দশ উইকেট নিয়েছেন খালেদ আহমেদ।
কয়েক সিরিজ ধরেই ভালো বোলিং করছেন এবাদত হোসেন, শরিফুল ইসলামরাও। ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে এবার তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলবে বাংলাদেশ।
সে দুই সিরিজে সাকিব অধিনায়ক নন। তবে দলের খেলোয়াড়দের ওপর আস্থা রয়েছে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের। তাই তার বিশ্বাস, সাদা বলের দুই সিরিজে লড়াই জমবে।
সাকিবের ভাষ্য গত ৩-৪ বছরে আমরা এই বিভাগে (পেস বোলিং) সবচেয়ে বেশি উন্নতি করেছি। ম্যাচ জিততে হলে আমাদের দল হিসেবে পারফর্ম করতে হবে।সাদা বলে আমরা লড়াকু দল এবং আমরা নিশ্চিত সিরিজটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হতে চলেছে। জয় নিয়ে আমারা আশাবাদী। আগামী ২ জুলাই প্রথম টি-টুয়েন্টি দিয়ে শুরু হবে সিরিজ।