টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ার নিয়ে চরম শঙ্কায় মাহমুদউল্লাহ-মুশফিক, যা জানালো বিসিবি বোর্ড

উইন্ডিজ সফরে দলের ব্যর্থতা এবং বাজে ক্যাপ্টেন্সির সুবাদে ‘বিশ্রামের’ মোড়কে নেতৃত্ব হারিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

ব্যক্তিগত জীবনে তার ভায়রা-ভাই মুশফিকুর রহিমকেও জিম্বাবুয়ে সফরের টি-টোয়েন্টি সিরিজে বিশ্রামে পাঠানো হয়েছে।আরেক সিনিয়র সাকিব আল হাসান নিজেই ছুটি নিয়েছেন এই সফর থেকে।

তিন ফরম্যাটের কোনোটিতেই সাকিবের জায়গা নিশ্চিত থাকলেও ‘ভায়রা-ভাই জুটি’র টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ার নিয়ে সংশয় জেগেছে।

দেশের ক্রিকেট বিশ্লেষকদের অনেকেই মনে করছেন, এই দুই সিনিয়রের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ার এখানেই শেষ। নুরুল হাসান সোহান জিম্বাবুয়ে সফরে ভালো নেতৃত্ব দিলে তাকেই স্থায়ী করা হতে পারে নাহলে দায়িত্ব বর্তাবে টেস্ট অধিনায়ক সাকিবের ওপর।

ক্রিকেটাঙ্গনে যখন এমন জল্পনা চলছে, তখন সে সব যেন তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিলেন জাতীয় দলের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন।তারমতে,

তরুণদের পারফর্মেন্স দেখতেই সিনিয়রদের বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার রাজধানীর এক হোটেলে ক্রিকেটারদের সঙ্গে আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের খালেদ মাহমুদ বলেন,

‘রিয়াদ, মুশফিক, সাকিব যে এই সংস্করণ থেকে বাদ হয়ে গেল, ব‍্যাপারটা এমন নয়। আমরা কিছু ছেলেকে দেখতে চাই।

যারা সম্ভাবনাময়,তাদের নিজেদের সেরা জায়গায় খেলিয়ে আমরা দেখতে চাই, কী করে। সিনিয়রদের সম্পর্কে আমাদের জানা আছে।

জানি কী পারে, না পারে। খেলোয়াড়দের পুরো সিরিজে সুযোগ দেওয়া একটা গুরুত্বপূর্ণ ব‍্যাপার।‘আগামী শনিবার থেকে হারারেতে শুরু হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি সিরিজে এই তরুণরা ধোলাই হলেও আক্ষেপ থাকবে না জানিয়ে সুজন আরও বলেন,

‘একটা ম‍্যাচ খেলার পর গ‍্যাপ দিয়ে আরেকটা ম‍্যাচ খেলিয়ে তো বিচার করা যায় না। এর জন‍্য একটু সময় দেওয়াও দরকার। একটা না একটা সময় আমাদের তো ঘুরে দাঁড়াতে হবেই।পালাবদলের সময় যে এখনই শুরু হয়ে গেছে সেটা বলব না। এখনও সিনিয়র খেলোয়াড়দের মধ‍্যে সামর্থ‍্য আছে। জুনিয়র খেলোয়াড়দের ঠিক মতো তুলে ধরাটাও আমাদের কাজ।