ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর কাছ থেকে জব্দ করা অস্ত্র দোনেৎসক ও লুহানস্ক প্রজাতন্ত্রকে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই সোইগু।
শুক্রবার (১১ মার্চ) তিনি বলেন, পশ্চিমাদের সরবরাহ করা ক্ষেপণাস্ত্রসহ এসব অস্ত্রের সদ্ব্যবহার করতে পারবে ডোনবাসের বাহিনী। ট্যাংক, সাঁজোয়া যানসহ ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর কাছ থেকে বিপুল সংখ্যক ছোট অস্ত্র জব্দ করেছি।
এছাড়াও অনেক জেভেলিন ও স্টিংগার সিস্টেমও আছে আমাদের হাতে।মার্কিন-নির্মিত হাতে বহনীয় বিমান ও ট্যাংকবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র জেভেলিন।
ওয়াশিংটন ও তার মিত্ররা এসব অস্ত্র কিয়েভকে দিয়েছিল।রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, দোনেৎসক ও লুহানস্কের বিদ্রোহীদের এসব অস্ত্র হস্তান্তরের একটি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
নিজেদের প্রতিরক্ষায় তারা এসব ভালোভাবে ব্যবহার করতে পারবেন।আভাস দিয়ে তিনি আরও বলেন, রাশিয়ার অত্যাধুনিক অস্ত্রও ব্যবহার করতে পারবেন বিদ্রোহীরা।
যার মধ্যে ট্যাংকবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমানপ্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে।এই প্রস্তাবে সায় দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। প্রয়োজনে এ সংক্রান্ত নির্দেশনায় তিনি সই করবেন।বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো বলেছেন, কেবল ডোনবাসেই না; বেলারুশেও হামলার পরিকল্পনা করেছিল ইউক্রেন।
শুক্রবার তিনি বলেন, অভিযানের ছয় ঘণ্টা আগে সেখানে যদি চারটি অবস্থানে নিবৃত্তিমূলক হামলা করা না হতো, তবে বেলারুশ ও রাশিয়ায় আমাদের সেনাদের ওপর তারা হামলা চালাত।
আমি আপনাদের মানচিত্র দেখাতে পারব।তিনি আরও বলেন, আমরা এই যুদ্ধ লেলিয়ে দিইনি। আমাদের বিবেক পরিষ্কার। তবে আমরা শুরু করেছি, যা ভালো হয়েছে।
মস্কো ও মিনস্কের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, সোভিয়েত ইউনিয়ন নিষেধাজ্ঞার মধ্যে রয়েছে। কিন্তু সফল হয়েছে।
শুক্রবার সকালে লুকাশেঙ্কোর সঙ্গে কথা বলেন পুতিন। তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞার শর্তের মধ্যে রয়েছে সোভিয়েত ইউনিয়ন। তবুও ব্যাপক সফলতা রয়েছে। এমনকি ১৯৯০ সালের পরেও রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা ছিল। কিন্তু আমরা একটি নতুন ও আধুনিক সময় পার করেছি।