দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে বড় জয়ে নতুন ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে টাইগাররা জয় পেয়েছে ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে।
এই জয়ের মধ্য দিয়ে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ নিজেদের করে নিল টাইগাররা। সেই সাথে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডে সিরিজ জয়ও এটি।
এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে কোনো সিরিজ জিততে পারেনি বাংলাদেশ।প্রোটিয়াদের বেধে দেয়া মাত্র ১৫৫ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরু থেকেই আগ্রাসী ব্যাট চালাতে থাকেন লিটন দাস ও তামিম ইকবাল।
সমান তালে রান তুলতে থাকা এই দুই ব্যাটার মিলে স্কোরবোর্ডে জমা করে ১২৭ রান। জয় থেকে অল্প দূরত্বে থাকলেও এই জুটি বিচ্ছিন্ন হয় লিটন দাস ব্যক্তিগত ৪৮ রানে সাজঘরে ফেরত গেলে।
৫৭ বল মোকাবেলা করা লিটনকে প্যাভিলিয়নের পথ ধরান কেশব মেহেরাজ।তিন নম্বরে নামা সাকিব আল হাসানকে নিয়ে অবশ্য জয়ের বাকি কাজটা শেষ করেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল।
শেষ পর্যন্ত তামিমের ৮২ বলে বলে ৮৭ রানের অপরাজিত ইনিংসের সাথে সাকিবের ২০ বলে ১৮ রানের অপরাজিত ইনিংসে মাত্র ২৬ ওভার ৩ বলেই ৯ উইকেটের জয় পায় টাইগাররা।
এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করতে নামা দক্ষিণ আফ্রিকা ওপেনিং জুটিতে শুরুটা ভালো পায়। জানেমন মালান ও কুইন্টন ডি কক মিলে স্কোরবোর্ডে ৪৬ রান জমা করার পর এই জুটি বিচ্ছিন্ন করেন মেহেদি হাসান মিরাজ ব্যক্তিগত ১২ রানে ডি কককে সাজঘরে ফিরিয়ে দিয়ে।
এরপর থেকেই অবশ্য একের পর এক আঘাত হানতে থাকেন তাসকিন আহমেদ। ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে তাস্পকিনের সাথে ছিলেন সাকিব আল হাসান ও শরিফুল ইসলামও।
ওপেনার জানেমন মালান ৩৯ রানের ইনিংস খেললে শেষের দিকে কেশব মহারাজ ও ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করলেও তা ভেঙে দেন তাসকিন।
মাত্র ৩৭ ওভারেই ১৫৪ রানে এদিন গুটিয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। যেখানে বল হাতে ৯ ওভারে মাত্র ৩৫ রান খরচায় তাসকিন দখলে নেন ৫ উইকেট। সেই সাথে সাকিব ২টি ও মিরাজ-শরিফুল নেন ১টি করে উইকেট।