নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। নির্বাচনে ১৯২টি কেন্দ্রে ভোট নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে ১৬৪টি কেন্দ্রে থেকে বেসরকারিভাবে ফলাফল পাওয়া গেছে।
প্রাপ্ত ফলাফলে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী পেয়েছেন ১ লাখ ৩৮ হাজার ৯২৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হাতি মা’র্কার স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকার পেয়েছেন ৭৮ হাজার ৯৬৩ ভোট।
উল্লেখ্য, নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে ৩০ জন ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন। প্রতিটি কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কমপক্ষে ৪ থেকে ৫টি টিম ছিল; যার প্রতিটি টিমে ৪ থেকে ৫ জন পু’লিশ সদস্য ও ২০ থেকে ২২ জন আনসার সদস্য।
নির্বাচনে মেয়রপদে প্রার্থী ছিলেন ৭ জন। তাদের মধ্যে রয়েছেন— খেলাফত মজলিশের এ বি এম সিরাজুল মামুন (দেয়াল ঘড়ি), ই’স’লা’মী আ’ন্দোলন বাংলাদেশের মা’ওলানা মোহাম্ম’দ মাছুম বিল্লাহ (হাত পাখা), বাংলাদেশ খেলাফত আ’ন্দোলনের মোহাম্ম’দ জসীম উদ্দিন (বটগাছ), বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মোহাম্ম’দ রাশেদ ফেরদৌস (হাতঘড়ি) ও স্বতন্ত্র কা’ম’রুল ই’স’লা’ম বাবু (ঘোড়া)। তবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী (নৌকা) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারকে (হাতি) নিয়েই দেশব্যাপী বেশি আলোচনা ছিল। জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন দুই প্রার্থীই।
এ নির্বাচনে সিটি করপোরেশনের ২৭টি সাধারণ ওয়ার্ডে এবং ৯টি সংরক্ষিত না’রী ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৪৮ জন ও সংরক্ষিত না’রী কাউন্সিলর পদে ৩৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।