রংপুরের পীরগাছা উপজেলার ২২ বছরের এক যুবক গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে মৌসুমি আক্তার নামে দুই সন্তানের জননীর সঙ্গে বিয়ে করে রীতিমত হইচই ফেলে দিয়েছেন।সাদুল্লাপুর উপজেলার ধাপেরহাট ইউনিয়নের হাসানপাড়া
গ্রামে ওই দম্পতিকে দেখার জন্য উৎসুক লোকজন বাড়িতে ভিড় করেছেন।পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, স্বামীর সঙ্গে মনোমালিন্য হওয়ায় বেশ কিছু দিন ধরে বাবা মহির উদ্দিনের বাড়িতে অবস্থান করছিলেন মৌসুমি আক্তার। তার আট বছরের একটি মেয়ে ও চার বছরের একটি ছেলে
রয়েছে।মৌসুমি বাবার বাড়িতে থাকাকালে ফেসবুকে নিজেকে অবিবাহিত দাবি করেন এবং রংপুরের পীরগাছা উপজেলার পাওটানার বিরবিরিয়া গ্রামের ওমর ফারুক মণ্ডলের ছেলে সোহেল রানার (২২) সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন।গত বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) সোহেল রানা পীরগাছা থেকে প্রেমিকা মৌসুমির সঙ্গে দেখা করার জন্য সাদুল্লাপুরে চলে আসে। পরে মৌসুমি তার প্রেমিককে নিয়ে স্থানীয় এক কাজির বাড়িতে গিয়ে আগের স্বামীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ করে নতুন প্রেমিকের সঙ্গে চার লাখ টাকার
মোহরানায় কাবিননামা স্বাক্ষর করেন।সন্ধ্যায় সোহেলকে মৌসুমি বাড়িতে নিয়ে আসলে সোহেল জানতে পারে, মৌসুমির আট বছরের একটি মেয়ে ও চার বছরের একটি ছেলেসন্তান রয়েছে। প্রতারণা বুঝতে পেরে সোহেল রানা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় স্থানীয়রা সোহেলকে আটকে রেখে সালিস বৈঠকের মাধ্যমে বিয়ে দেন।সাদুল্লাপুরের ধাপেরহাট পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের এসআই কে এম জিয়াউল আলম ঘটনাস্থল থেকে রোববার মুঠোফোনে আরটিভি নিউজকে বলেন, বিবাহের কাবিননামায় সোহেল
রানার জন্ম তারিখ উল্লেখ করা হয়েছে ২০০০ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি এবং মৌসুমির ২০০১ সালের ৫ মে। তিনি আরও জানান, সোহেল রানাকে পাওয়া যায়নি। সে গতরাতে পীরগাছা চলে গেছে। সোহেল রানার লেখাপড়া সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি বলেও তিনি জানান। এ ছাড়া মৌসুমির সন্তানদের তার বাবা নিয়ে গেছে।এ বিষয়ে ধাপেরহাট পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ফেসবুকের মাধ্যমে তাদের সম্পর্ক। কাজি অফিসে মৌসুমি পূর্বের স্বামীকে তালাক দিয়ে সোহেল রানাকে বিয়ে করেছেন। তাদের পক্ষ থেকে পুলিশের কাছে কোনো অভিযোগ করা হয়নি। তবে এ বিষয়ে খোঁজখবর রাখা হচ্ছে।