ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে আজ ঢাকা ছেড়েছে বাংলাদেশ ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি দলের বাকি সদস্যরা।
মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের নেতৃত্বে ঢাকা ছেড়েছেন আফিফ হোসেন, মুনিম শাহরিয়ার, মেহেদি হাসান এবং নাসুম আহমেদ।আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দুই বার চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
তবে বিগত কয়েক বছরের পারফরম্যান্স বিবেচনায় প্রায় সমান সমান দুই দল। আইসিসি টি-টোয়েন্টি র্র্যাংকিং ও তাই বলে। বর্তমানে সাত নম্বরে রয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং ৮ নম্বরে রয়েছে বাংলাদেশ।
দ্বিপক্ষীয় সিরিজে শেষ ছয়বারের মুখোমুখিতে দুই দলের জয়-পরাজয়ের অনুপাত সমান। টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যে যে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় তা বুঝিয়ে দিচ্ছে এই পরিসংখ্যান।
আরেকটি সিরিজ যখন সামনে, তখন বাংলাদেশের এই ফরম্যাটের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ সেই কথাই মনে করিয়ে দিলেন, ‘এটা ভালো একটা সিরিজ হবে।’
২০১৮ সালে বাংলাদেশ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ২-১ ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছিল। ওই বছরেরই শেষ দিকে বাংলাদেশে এসে সিরিজ হারের প্রতিশোধ নেয় ক্যারিবীয়রা।
হিসাবটা তাই সমানে সমান আছে। তবে বিশ্বকাপ মঞ্চে বাংলাদেশকে হারিয়ে কিছুটা হলেও এগিয়ে যায় উইন্ডিজ। সেই ম্যাচেও বাংলাদেশ শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াইয়ে টিকে ছিল।সামনের প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ সিরিজ জয়ের প্রত্যাশায় শুক্রবার (২৪ জুন) সকালে ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে উড়াল দিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ।
যাওয়ার আগে নিজের প্রত্যাশা শুনিয়েছেন, “বাংলাদেশের টার্গেট সিরিজ জয়। আমরা ভালো ক্রিকেট খেলার চেষ্টা করবো। আর এই মুহূর্তে আমাদের দলের ভারসাম্য খুব ভালো আছে।”এর আগেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে টি-টোয়েন্টি সিরিজের জয়লাভ করেছে বাংলাদেশ। ২০১৮ সালে সাকিবের নেতৃত্বে ২-১ ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছিল টাইগাররা।
প্রথম ম্যাচ হারের পর দ্বিতীয় ও তৃতীয় ম্যাচে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে সিরিজ জেতে তারা।“তারা ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে খুব ভালো দল। আমাদের ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে। ওদের কন্ডিশনে খেলা, অবশ্যই একটা চ্যালেঞ্জ থাকবে। কিন্তু শেষবার যখন গিয়েছি, ভালো ক্রিকেট খেলে সিরিজ জিতেছি, ইনশাআল্লাহ এবারও চেষ্টা করবো সিরিজ জেতার।” ২, ৩ ও ৭ জুলাই দুই দলের তিন টি-টোয়েন্টি হবে।