দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ দল লিড নিতে না পারলেও দ্বিতীয় ইনিংসে প্রোটিয়াদের অল্প রানেই থামিয়ে দিয়েছে টাইগাররা।
ফলে ম্যাচ জিততেও কিছুটা সহজ লক্ষ্য দাঁড়িয়েছে টাইগারদের সামনে।স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচের প্রথম ইনিংসে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করেছিল প্রথম দিনে।
তবে দ্বিতীয় দিনে প্রোটিয়া ব্যাটারদের চেপে ধরে বাংলাদেশ দলের বোলাররা। ফলে টেম্বা বাভুমার ৯৩ রানের সাথে মিডল অর্ডারে কাইল ভেরেন্নেইর ২৮ রান ও সাইমন হারমারের অপরাজিত ৩৮ রানে ভর করে প্রথম ইনিংসে প্রোটিয়ারা অলআউট হয় ৩৬৭ রানে।জবাবে ব্যাটিং করতে নামা বাংলাদেশ দলও শুরুতেই খেই হারায়।
দ্বিতীয় দিনে এসে টাইগারদের হয়ে ব্যাট হাতে সুবিধা করতে পারেননি সাদমান, মুমিনুল, মুশফিকরা। নাজমুল হোসেন শান্তর সাথে মিলে অবশ্য ব্যাট হাতে খানিক সময় লড়াই চালিয়ে যান ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়।
শান্ত ব্যক্তিগত ২৮ রানে প্যাভিলিয়নের পথ ধরলেও ব্যাট হাতে অবিচল ছিলেন জয়। কখনও লিটন আবার কখনও ইয়াসির আলির সাথে জুটি বেধে দলের লিড কমিয়েছেন এই ব্যাটার।লিটন দাসের ৪১ ও মেহেদি হাসান মিরাজের ২৯ রানের সাথে জয় খেলেন ৩২৬ বল মোকাবেলায় ১৩৭ রানের রেকর্ড গড়া ইনিংস।
যেখানে তিনি হাঁকিয়েছিলেন ১৫টি চার ও ২টি ছক্কা। দশম ব্যাটার হিসেবে জয়ের বিদায়ের পর বাংলাদেশ দলের প্রথম ইনিংস শেষ হয়েছিল ৬৯ রান পিছিয়ে থেকে।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামা দক্ষিণ আফ্রিকা অবশ্য দলীয় ৪৮ রানের মাথায় হারায় ওপেনার সেরেল এরোকে। ব্যক্তিগত ৮ রানে এরো সাজঘরে ফিরে যান এবাদতের শিকারে পরিণত হয়ে।আরেক ওপেনার ডিন এলগার ও কিগান পিটারসেন মিলে ৬৮ রানের জুটি গড়লে এই জুটি বিচ্ছিন্ন করেন তাসকিন আহমেদ।
এলগারকে ব্যক্তিগত ৬৪ রানে প্যাভিলিয়নের পথ ধরান তাসকিন।প্রথম ইনিংসে ৯৩ রান করা টেম্বা বাভুমা অবশ্য এই ইনিংসে সুবিধা করতে পারেননি। মাত্র ৪ রানেই এবাদতের বলে ইয়াসির আলির দুর্দান্ত ক্যাচে পরিণত হয়ে সাজঘরে ফিরে যান বাভুমা।
মিডল অর্ডারে একপ্রান্ত আগলে রেখে ব্যাট চালিয়ে যান আরেক প্রোটিয়া ব্যাটার রায়ান রিকেলটন। তবে তাকে যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেননি বাকি ব্যাটাররা। ইনজুরি আক্রান্ত তাসকিন আহমেদের সাথে মেহেদি হাসান মিরাজ ও এবাদত হোসেনের বোলিং তোপে টিকতে পারেনি প্রোটিয়ারা।
নিচের সারির বাকি ব্যাটাররা আসা-যাওয়ার মিছিলে যোগ দিলে রিকেলটন একাই প্রতিরোধ গড়তে চান। তবে শেষ পর্যন্ত তাকে ৩৯ রানে অপরাজিত রেখেই বাকি ব্যাটারদের সাজঘরে ফিরিয়ে দেন টাইগার বোলাররা।
ফলে দক্ষিণ আফ্রিকা দ্বিতীয় ইনিংসে অলআউট হয় মাত্র ২০৪ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে তাই বাংলাদেশের সামনে জয়ের জন্য লক্ষ্য দাঁড়ালো ২৭৪ রানের।বল হাতে দ্বিতীয় ইনিংসে এবাদত হোসেন ৩টি, মেহেদি হাসান মিরাজ ৩টি এবং তাসকিন আহমেদ নিয়েছেন ২টি করে উইকেট।