বাংলাদেশ জাতীয় দলের টি-২০ থেকে তামিম ইকবালের সাময়িক অবসর ও নাঈম শেখসহ যারা ওপেনিংয়ে আছেন,
তাদের পারফরম্যান্সের দিকে তাকালে তারা সকলেই একবারেই নড়বড়ে একারনণই বিজয়ের দলে ফেরা প্রত্যাশিতই।এদিকে ৫০ ওভারের ঘরোয়া সংস্করণে ১৫ ম্যাচে ব্যাট হাতে যেভাবে তাণ্ডব চালিয়ে অসাধারণ ধারাবাহিকতায় ১,১৩৮ রান করেছেন,
সে বিবেচনায় বাংলাদেশ ওয়ানডে দলে সুযোগ পাওয়ার দাবিদার এনামুল হক বিজয়।বাংলাদেশের এই অবহেলিত ক্রিকেটার সময়ের দাবি মিটিয়ে ছন্দে থাকায় তাকে দলে ফেরানোর ব্যাপারে সহমত নির্বাচক থেকে শুরু করে টিম ম্যানেজমেন্টের সদস্যরা পর্যন্ত।
বিজয় দীর্ঘ তিন বছর পর আবার জাতীয় দলে ফিরছেন বলে আশা করা যায়।ডিপিএলে মাঠ মাতানো বিজয় সবশেষ ওয়ানডে খেলেছেন ২০১৯ সালের জুলাইয়ে, শ্রীলঙ্কা সফরে।
তিনি সবশেষ টি-টুয়েন্টি খেলেছেন ২০১৫ সালের নভেম্বরে। আর শেষ টেস্ট ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে।বাংলাদেশর অন্যতম এই ওপেনার একটা সময় তামিমের সঙ্গে জাতীয় দলে নিয়মিত ওপেনিং করতেন।
২০১৫ বিশ্বকাপে বাউন্ডারি লাইনে ফিল্ডিং করতে গিয়ে চোটাক্রান্ত হওয়ায় দল থেকে বাদ পড়ে যান।এরপর ওয়ানডে দিয়ে ফিরতে সময় লাগে চার বছর।
বিজয় জাতীয় দলে একাধিকবার ফিরলেও থিতু হতে পারেননি।এদিকে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের এবারের আসরে প্রত্যাশার চেয়েও ভালো পারফরম্যান্স করে নিজের জাত চেনান বিজয়।শুধু তাই নয় লিগের ইতিহাসে রেকর্ড সর্বোচ্চ রান করেছেন প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের এই ওপেনার।
লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটের এক আসরে ১৫ ম্যাচে তিন সেঞ্চুরি আর ৯টি ফিফটির সাহায্যে ৮১.২৮ গড়ে প্রায় একশ স্ট্রাইকরেটে ১,১৩৮ রান করেছেন।
আগে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে এক আসরে সর্বোচ্চ ৮১৪ রান করেছিলেন সাইফ হাসান। তার রেকর্ড ভেঙে ইতিহাস গড়েছেন বিজয়।ঈদের ছুটি কাটিয়ে ৯ মে মুমিনুল হকের দল অনুশীলন শুরু করবে প্রথম টেস্টের ভেন্যু চট্টগ্রামে। সফরকারী শ্রীলঙ্কা অনুশীলন করবে মিরপুরে।
বিকেএসপিতে ১১-১২ মে লঙ্কানরা খেলবে দুদিনের একটি প্রস্তুতি ম্যাচ। ‘বিসিবি একাদশ’ নামে নির্বাচকরা দল চূড়ান্ত করে ফেলেছেন।এদিকে বিজয়কে বিসিবি একাদশে সুযোগ দেওয়া হতে পারে বলে জানা গেছে।লঙ্কানদের বিপক্ষেই নয় শুধু বাংলাদেশ ‘এ’ দলের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের দলেও তার থাকার সম্ভাবনা
প্রবল।ওদিকে এ বছরের মাঝামাঝি জুন-জুলাইয়ে জাতীয় দল ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর করবে বাংলাদেশ। টেস্ট, ওয়ানডে এবং টি-টুয়েন্টি, তিন সংস্করণেই খেলবেন সাকিব-তামিম-মুমিনুলরা।বাংলাদেশ জাতীয় সফরের একই সময়ে বাংলাদেশ ‘এ’ দলেরও সফর আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজে। একটি চার দিনের ও পাঁচটি ওয়ানডে খেলবে ‘এ’ দল।