গত ৯ ইনিংসে একবারও দুই অঙ্কের রানের দেখা পাননি মুমিনুল। এর মধ্যে ৩ বার আউট হয়েছেন শূন্য রানে। অধিনায়ক হিসেবে টেস্ট দলের সর্বেসর্বা তিনি, দেখভাল করতে হয় দলের সব কিছুই।
এতে মুমিনুলের ওপর চাপ সৃষ্টি হচ্ছে আর সেই চাপ ব্যাটিংয়ে প্রভাব ফেলছে- এমনটি মনে করেন অনেকে।এ নিয়ে গণমাধ্যমের সাথে আলাপকালে খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন,
‘পারফর্ম না করলে এটা মনে হওয়া স্বাভাবিক, মনে হবে অধিনায়কত্ব বোঝা হয়ে গেল কি না।ও আমাদের সবচেয়ে বেশি টেস্ট সেঞ্চুরির মালিক।
তার গড় ছিল ৫০ এর ওপরে। হঠাৎ করে পারফর্ম করছে না- প্রশ্ন থেকেই যায়। এটার উত্তর মুমিনুলই সবচেয়ে ভালো দিতে পারবে।’তবে অফ ফর্মের কারণ যদি নেতৃত্বের চাপ হয়ে থাকে, সুজনের চাওয়া- মুমিনুলের জায়গায় অন্য কাউকে নেতৃত্বভার দেওয়া, ‘ক্যাপ্টেন্সির প্রভাব থাকছে কি না এটা বড় প্রশ্ন।
যদি থাকে আমরা এটা (অধিনায়কত্ব) চাই না। আমরা তার ব্যাটিংটা চাই, এটাই গুরুত্বপূর্ণ। ও সময় নিয়ে সেঞ্চুরি করে, আমরা এটা চাই।’
সুজন বলেন, ‘বাইরে থেকে দেখে কিছু সময় মনে হয়- হ্যাঁ মুমিনুল মনে হয় চাপে আছে। সেই চাপ হয়ত ব্যাটিংয়ে কিছুটা হলেও ক্ষতি করছে।
কিন্তু সে ক্লাস প্লেয়ার।বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতে খুবই পরিচিত নাম নাজমুল আবেদীন ফাহিম । ক্রিকেটারদের কাছে তিনি ফাহিম স্যার নামে পরিচিত।তিনি বলেন এখন বোধ হয় সময় এসেছে অধিনায়কত্ব থেকে আমাদের একসময়ের সেরা ব্যাটসম্যানকে মুক্তি দেব কি না—এটা ভাবার।
নিশ্চিতভাবেই বলা যায়, অধিনায়কত্ব মুমিনুলের ওপর চাপ ফেলছে। এবং ওর ব্যাটিংয়ে সেটি স্পষ্ট। আমার মনে হয়, ওকে এ দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলে সেটি ভালো একটি সিদ্ধান্ত হবে।সাকিবের মতো একজন খেলোয়াড় থাকার পরও তাকে অধিনায়ক হিসেবে ব্যবহার না করার মতো বোকামো আর কিছু হতে পারে না, অন্তত আমার তাই মনে হয়।
ওর যে পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা, অভিজ্ঞতা, দলে অবস্থান, পারফরম্যান্স—সবকিছু মিলিয়ে দলটা ওর হাতে দিলে ভালো একটা অবস্থানে নিয়ে যেতে পারবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরেই গুরুত্বপূর্ণ একটি সিদ্ধান্ত হতে পারে এটি।সাকিবের উচিত হবে দলের দায়িত্ব নেওয়া। আশা করি, ও আরও দুই-তিন বছর টেস্ট ক্রিকেট খেলবে।
সে সামর্থ্য ওর আছে। খুব করে আশা করব, সাকিব যাতে দলের দায়িত্বটা নিয়ে পুনর্বিন্যাস করে। ও যখনই অধিনায়ক হবে, দলের সংস্কৃতিতে, দৃষ্টিভঙ্গিতে, লক্ষ্য নির্ধারণে পরিবর্তন আসবে।ব্যক্তিগত ও সামগ্রিকভাবে দলটি আরেকটা পর্যায়ে যাওয়ার সুযোগ পাবে। একটা সময় শুনেছি, কেউ অধিনায়ক হতে চায় না, আবার বোর্ড কাউকে দিতে চায় না। তবে দলের স্বার্থে এসবের ঊর্ধ্বে উঠে আমাদের প্রথমেই এ কাজটা করা উচিত।