খুবই অল্প দিনের মধ্যেই নিজেকে পাল্টে ফেলেছেন জাতীয় দলের পপুলার ব্যাটসম্যান লিটন দাস। ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে কিছুটা চাপে থাকলেও বর্তমানে খোলস ছেড়ে বেরিয়ে ছেম লিটন দাস।
ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নিতে তিনি খেলেছিলেন ২৬টি ম্যাচ।ব্যর্থতার পরেও দীর্ঘদিন ধরে তাকে জাতীয় দলের সাথে রেখেছে নির্বাচকরা।
এবার ব্যাট হাতে সেই প্রতিদান দিচ্ছেন তিনি। লিটন ছুটছেন বাজির ঘোড়ার মতো। তার ব্যাটে রানের ফোয়ারা। শতকের সংখ্যা খুব একটা না হলেও নিয়মিতই রান পাচ্ছেন তিনি।
২০২২ সালে ক্রিকেট বিশ্বের তিন ফরম্যাটে মিলিয়ে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তিনি। এবছর বাংলাদেশ দলের হয়ে তিন ফরম্যাটেই দারুণ ফর্মে রয়েছেন তিনি।
শ্রীলংকার বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ব্যাটে জ্বলে উঠেছেন লিটন। এর মধ্যে চট্টগ্রামে প্রথম ইনিংসে তিনি করেছেন ৮৮ রান।এবার ঢাকা টেস্টের প্রথম ইনিংসে তিনি করেছেন ক্যারিয়ারের সেরা ১৪১ রান এবছর তিন ফরমেটে ১৭ ইনিংসে ৯১৫ রান সংগ্রহ করেছেন লিটন দাস।
ব্যাটিং গড় ৫৩.৮২ স্ট্রাইক রেট ৬৮.৫০। সেঞ্চুরি করেছেন তিনটি এবং হাফ সেঞ্চুরি করেছেন পাঁচটি।চট্টগ্রামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৮৮ রানের দুর্দান্ত ইনিংসের ঢাকা টেস্টে মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে রেকর্ড জুটি গড়ে তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের তৃতীয় শতক।
১৪১ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলে দলকে রক্ষা করেছেন বিপদ থেকেও। শেষ দশটি ম্যাচেই তিনটি শতক পেয়েছেন এই ডান হাতি ব্যাটার।হঠাত কীভাবে এমন বদলে গেলেন লিটন?
ঢাকা টেস্টের দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে লিটনকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, বদলে যাবার পেছনে কারো কাউন্সিলিং করে কী না। এমন প্রশ্নের জবাবে লিটন বলেছেন,“নাহ তেমন কিছু না।
কেউ কাউন্সিলিং করে না। মানুষ আসলে যখন ব্যর্থ হয়, তখন মানুসিকভাবে শক্ত হওয়ার দরকার পড়ে। তখন মাথায় মানুষিক ভাবে শক্ত হওয়ার প্রেরণা আসে।
আপনি ব্যর্থ না হলে আসলে বুঝবেন না যে আপনার মানসিক অবস্থা কোন দিকে যাচ্ছে”।“ভালো খেললে মানুষ বাহবা দেবে, আবার খারাপ খেললেও সমালোচনা করবে।
একই জিনিস হতেই থাকবে। কারণ তারা চায় আমি সবসময় পারফর্ম করি। তো এসব এখন আর আমাকে স্পর্শ করে না। আমি নিজের কাজে, নিজের অনুশীলনে মনোযোগ দিচ্ছি। নিজের সব ঠিকঠাক করার চেষ্টা করছি। যদি আমার চেষ্টায় সমস্যা থাকে তাহলে নিজের কাছে খারাপ লাগে। আমি শুধু আমার কাজটা করছি, ফল স্রষ্টার হাতে।”