ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাজে ক্যাপ্টেন্সি, ভুলে যাওয়ার মতো পারফরমেন্স আর দলের সিরিজ হারে মাহমুদউল্লাহর সিংহাসন কেঁপে উঠেছিল।
সেই সিংহাসন আপাতত তাকে হারাতেই হয়েছে। যদিও এক সিরিজের জন্য মাহমুদউল্লাহকে বিশ্রাম দিয়ে নুরুল হাসান সোহানকে অধিনায়ক করা হয়েছে, তবু এখানেই জাতীয় দলের এই সিনিয়রের নেতৃত্বের শেষ বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে।
ইনজুরির কারণে ওই সিরিজে নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ছিলেন না। এরপর সাকিব জুয়াড়ির তথ্য গোপন করে আইসিসি কর্তৃক নিষিদ্ধ হলে পাকাপাকিভাবে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের নেতৃত্ব পেয়ে যান মাহমুদউল্লাহ।
পরবর্তী চার বছরে জয়ের হিসাবে মাহমুদউল্লাহ হয়ে ওঠেন টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক।
ময়মনসিংহের এই ক্রিকেটারের নেতৃত্বে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি ৪৩টি ম্যাচ খেলেছে। এর মধ্যে জয় এসেছে ১৬টিতে এবং হারতে হয়েছে ২৬টি ম্যাচ।
একটি ম্যাচ হয়েছে পরিত্যক্ত। অধিনায়ক হিসেবে ৪৩ ম্যাচের ৪২ ইনিংসে ২৩.০০ গড়ে মাহমুদউল্লাহর রান ৭৮২, স্ট্রাইক রেট ১১২.৬৮, সর্বোচ্চ ৫২।
আর অধিনায়ক হওয়ার আগের ৭৫ ম্যাচে ৬৮ ইনিংসে ২৩.৭৯ গড় এবং ১২১.৩৬ স্ট্রাইক রেট তিনি ১২৬১ রান করেন। সর্বোচ্চ স্কোর ছিল অপরাজিত ৬৪* রান।