টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ দল বরাবরই ধারাবাহিক ছিল না।তবে গত বছর হোম গ্রান্ডের সুবিধা নিয়ে নিজেদের মাঠে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে জয় লাভ করে বাংলাদেশ দল।
কিন্তু এরপরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে এখন পর্যন্ত টি-টোয়েন্টিতে হতশ্রী পারফরম্যান্স করে যাচ্ছে বাংলাদেশ দল।
সাম্প্রতিক সময়্র ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে শেষ হওয়া টি-টোয়েন্টি সিরিজেও বাজে রকম ভাবে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ হেরেছে বাংলাদেশ দল।
আর সব কিছু মিলিয়ে বাংলাদেশের সমর্থকদের দাবি টি-টোয়েন্টিতে নেতৃত্বের পরিবর্তন আনার।যেখানে সব থেকে বেশি দাবি আসছে সাকিব আল হাসানকে টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক করার জন্য।
২০১৯ সালে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়ে তা গোপন করার জন্য আইসিসির নিষেধাজ্ঞা পরেন সাকিব আল হাসান।তার আগে টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক ছিলেন সাকিব।
সাকিব আল হাসানের নিষেধাজ্ঞার পর বাংলাদেশ ক্রিকেটে এক টালমাটাল অবস্থায় তৈরী হয়।তখন ভারত সিরিজে টেস্ট মুমিনুল হক টি-টোয়েন্টিতে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ কে অধিনায়কত্বের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
তবে সাম্প্রতিক সময়ের টেস্টে ব্যর্থটার জন্য ইতিমধ্যেই মুমিনুল হককে সরিয়ে সাকিব কে পুনরায় অধিনায়ক করা হয়েছে।কিন্তু টি-টোয়েন্টিতে এখনো দলের ভার আছে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের কাছে।
তবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে রিয়াদের দল পরিচালনা নিয়ে মোটেও সন্তুষ্ট নয় সমর্থকরা।এমনকি জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল মনে করেন,বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলের নেতৃত্ব আবারো সাকিব আল হাসানের হাতে তুলে দেওয়া দরকার।
আশরাফুল আরো জানান সাকিন যদি সব ফরমেটে নিয়মিত খেলে তবে তাকে সব জায়গায় অধিনায়ক হিসেবে আশরাফুলের প্রথম পছন্দ সাকিবই।
আশরাফুল বলেন, সব ফরম্যাট নিয়মিত খেললে সাকিবই প্রথম পছন্দ। নিষেধাজ্ঞায় যাওয়ার আগে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতে কিন্তু ও-ই অধিনায়ক ছিল।
সে নিষেধাজ্ঞায় যাওয়ার পর আমরা তিন ফরম্যাটে তিন অধিনায়ক চিন্তা করেছি।সাকিবের স্ত্রী-সন্তান যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন।ফলে টানা খেলার মধ্যে থাকা সাকিবের জন্য একটু কঠিন-তা মানছেন আশরাফুল।
তিনি বলেন,’তার পরিবার দেশের বাইরে থাকে।আমি জানি , পরিবার,সন্তান বাইরে থাকলে টানা খেলা কঠিন।সে কারণেই বোর্ড চাইলেও পারছে না বা সাকিব হয়ত এই চাপ নিতে চাচ্ছে না।যদি দেশের চিন্তা করি,আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি অধিনায়ক হিসেবে ও প্রথম পছন্দ।