ওয়ানডে সিরিজ জয়ের পরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম টেস্টে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। প্রথম দিন থেকে স্বাগতিকরা ৪ উইকেটে ২৩২ রান করেছে।
তবে এদিন মিরাজের অবিশ্বাস্য এক রান আউট আলোচনায় ঘুরছে সবখানে। টেম্বা বাভুমা তাসকিনের বল ড্রাইভ করে কভারে পাঠালেন।
সিঙ্গেল নেওয়ার জন্য ডাক দিলেন সতীর্থ পিটারসেনকে। তিনিও দিলেন সাড়া।ওদিকে পয়েন্ট থেকে দৌড়ে ডাইভ দিয়ে একহাতে বল নিলেন মিরাজ।
চোখের পলকে উঠে, বসে থাকা অবস্থায় থ্রো করেন স্ট্রাইক প্রান্তে। শরীরে ভারসাম্য নেই। জোর পাওয়ার কথা সামন্যই। আবার কোনাকুনি থেকে মাত্র একটি স্টাম্প দেখে থ্রো করতে হয়।
মিরাজের নিশানা ছিল পিকচার পারফেক্ট। বল যখন স্টাম্পে আঘাত করে তখনও ক্রিজের বাইরে পিটারসেন।লেগ আম্পায়ার ইরাসমাস তৃতীয় আম্পায়ারের সাহায্য নিলেও বাংলাদেশ শিবিরের উল্লাস বলে দিচ্ছিল উইকেটটা পেয়ে গেছে অতিথিরা।
বড় স্ক্রিনে আউট দেখানোর সঙ্গে সঙ্গে আনন্দ দ্বিগুনে পরিণত হয়। ড্রেসিংরুমেও ছিল সেই রান আউটের উল্লাস।ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে শিষ্যকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন কোচ রাসেল ডমিঙ্গো, ‘আমার দেখা সেরা রান আউটের একটি।
সে (মিরাজ) আমাদের জন্য ব্যাটিং, বোলিং এবং ফিল্ডিংয়ে দুর্দান্ত একজন ক্রিকেটার। দারুণ ক্যাচ নিতে পারে। তার দুর্দান্ত শক্তি এবং কর্মতৎপরতা দারুণ।
এই মুহূর্তে খুব আত্মবিশ্বাসী একজন ক্রিকেটারের কাছ থেকে এটি একটি বিশেষ রান আউট ছিল। এরকম কিছু দেখতে পারা সত্যিই আনন্দের।’
বাংলাদেশের গ্রাউন্ড ফিল্ডিং ও ক্যাচ দিয়ে গত কয়েক সিরিজ ধরেই হচ্ছিল কড়া সমালোচনা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর ফিল্ডিং কোচ রায়ান কুককে ছাঁটাইও করে বিসিবি।
এই সিরিজের আগে বাংলাদেশ নিয়োগ দেয় শ্রীলঙ্কার সাবেক কোচ শেন টিমোথি ম্যাকডারমটকে। মিরাজের আজকের রান আউটে নিশ্চিতভাবেই তার নামের পাশে মেরিট পয়েন্ট যোগ হবে।