মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে সাকিবের ‘চায়নাম্যান’ বোলিং

ক্রিকেটে রিস্ট স্পিনের কদর সবসময়ই বেশি। আর তা যদি হয় বাঁহাতের কারিশমা, তাহলে তো কথাই নেই। চায়নাম্যান বলতে চীনের মানুষ বোঝালেও ক্রিকেটে এখন নানা দেশের চায়নাম্যানদের দাপট।

এবার বাংলাদেশি অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের চায়নাম্যান বোলিং নিয়েও শুরু হয়েছে মাতামাতি।আঙুলের বদলে কব্জির কারসাজিতে সাকিবকে বল করতে দেখে মুগ্ধ ছেলে-বুড়ো সবাই।

তবে উল্লেখযোগ্য ব্যাপার হচ্ছে, সাকিবের চায়নাম্যান বোলিং এবারই প্রথম নয়; আগেও দেখা গেছে।চট্টগ্রাম টেস্টে শ্রীলঙ্কার প্রথম ইনিংসের ১১১তম ও সাকিবের ২৭তম ওভারে দেখা মেলে সেই বলটির। ওভারের পঞ্চম বলে সাকিব বলে যান লেগ স্পিনার। ডেলিভারিটি দেখে অবাক হন মাঠের খেলোয়াড়রাও।

যদিও সাকিব যে অনেক দিন ধরেই এই অ্যাকশন নিয়ে কাজ করছেন, তা স্পষ্ট। এর আগে পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ ও সর্বশেষ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগেও সাকিবকে চায়নাম্যান বোলার হয়ে উঠতে দেখা গেছে।সাকিবের এই বোলিং নিয়ে মাতামাতি পড়ে গেছে দেশের ক্রিকেট অঙ্গনে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে বোলিংয়ের ভিডিও। দিনের খেলা শেষে সাকিবের সতীর্থ নাঈম হাসান জানালেন, সাকিব অনেক দিন ধরেই চেষ্টা করছেন এই ডেলিভারিটি।

নাঈম বলেন, ‘অবাক হইনি। সাকিব ভাই এটা চেষ্টা করছিলেন। আগেই বলে রেখেছিলেন।’সাকিব যে ইনিংসে চায়নাম্যান বোলার হয়ে হইচই ফেলে দিয়েছেন, সেই ইনিংসে রাজত্ব করা অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসও অবাক এই ডেলিভারি দেখে।

এবারই প্রথম বাঁহাতি অর্থোডক্স স্পিনার থেকে সাকিবকে বাঁহাতি রিস্ট স্পিনার বা ‘চায়নাম্যান’ হতে দেখলেন ম্যাথিউস। তার দাবি, অভিজ্ঞতা দিয়েই এই কঠিন অ্যাকশন আয়ত্ত্ব করেছেন সাকিব।সংবাদ সম্মেলনে ম্যাথিউস বলেন, ‘সাকিব একজন অভিজ্ঞ ক্যাম্পেইনার। যেকোনো ডেলিভারিতেই সে ঠিক জায়গামত বল ফেলে।

এই প্রথম আমি তাকে চায়নাম্যান ডেলিভারি করতে দেখলাম। এই বলটাও সে নিখুঁতভাবে করেছে। অভিজ্ঞতার কারণেই সে এমন নতুন নতুন জিনিস নিয়ে আসতে পারছে।

সে দুর্দান্ত বল করেছে।’সাকিবের এই বোলিংয়ে মুগ্ধ ধারাভাষ্যকার আতহার আলী খানও। করোনা থেকে সেরে ওঠে অনুশীলন ছাড়াই খেলতে নেমেছেন সাকিব। অথচ পারফরম্যান্স দেখে বোঝার উপায় নেই, অনেক দিন পর টেস্ট খেলতে নেমেছেন তিনি।

আতহার বলেন, ‘এটা মোটেও সহজ নয়। ও করোনা আক্রান্ত ছিল, এজন্য শারীরিক-মানসিক ক্লান্তি আসতে পারে। কিন্তু সে দারুণ পেশাদার, যেভাবে বল করেছে তা-ও দারুণ। গতকালও ভালো বোলিং করেছে, আজ হ্যাটট্রিকের সুযোগও তৈরি করেছিল। সাকিবের তৈরি করা চাপ কাজে লাগিয়ে নাঈম উইকেট নিয়েছে। সে একপ্রান্তে রান আটকে ছিল। তার এমন পারফরম্যান্সে আমি অবাক নই।’