মৌসুমীর কন্ঠে অভিমানের সুর

অভিনেতা ডিপজলের ছেলের বিয়ের আসরে সানী-জায়েদ, চড়-পিস্তলকাণ্ডের পর প্রথমবারের মতো মৌসুমী ও ওমর সানীর মধ্যে দূরত্বের ব্যাপারটি সামনে আসে। এ ঘটনার পর সানী অভিযোগ করেন, জায়েদ স্ত্রী মৌসুমীকে বিরক্ত করে।

তবে জায়েদ ব্যাপারটা অস্বীকার করে বলেন, মৌসুমী আমার আপার মতো। তিনি যদি বলেন আমি আর সাথে কোন খারাপ আচরণ করেছি তাহলে সকল শাস্তি মাথা পেতে নিব। এরপর মৌসুমীর মন্তব্য জানার জন্য প্রতিক্ষায় ছিল ভক্তরা। এরপর হুট করেই মৌসুমী জানালেন জায়েদ আমার সাথে কোন ধরনের খারাপ আচরণ করেনি সে আমার ভাইয়ের মতো।

চিত্রনায়িকা মৌসুমী স্বামী সানীর বিরুদ্দে অবস্থান নেওয়ার পর ঘটনা ক্রমশ রহস্যময় হয়ে ওঠে। এরপর সানী-মৌসুমী দম্পতির ছেলে গণমাধ্যকে জানান, আসলেই জায়েদ মা মৌসুমীকে বিরক্ত করতেন। এরপর মিডিয়ার এই দম্পতির সংসার ভাঙ্গার গুঞ্জন ওঠে। এরপর সানী ডাইনিং টেবিলে পরিবারের সাথে একটি ছবি পোস্ট করে জানান সব ঠিক হয়ে গেছে। আমরা ভালো আছি। এরপরও চিত্রনায়িকা মৌসুমীর কোন বক্তব্য করেনি।

এবার অভিমানের সুরে যে কথা বললেন মৌসুমী। জানালেন সেই বিতর্কিত ঘটনার পর নিজেকে আড়াল করে রাখছেন, অনেকটা শামুকের মতো।নিজের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে মৌসুমী লিখেছেন, লুকিয়ে থাকতে চাইলেই লুকিয়ে থাকা যায়। সামনে যেটা থাকে সেটা শরীর। আমি এখন শামুকের মতো হয়ে গেছি। আড়াল করে নিজেকে নিয়ে আছি, এটিই স্বস্তি। যখন দিনের আলো দেখার সুযোগ হয়, নিজেকে বেমানান লাগে। এর পরই প্রসঙ্গ বদলে ফেলেন খাইরুন লো সুন্দরী। যেন পুরো কথা বলতে গিয়েও বললেন না। লিখলেন সিলেটের বন্যাদুর্গত মানুষের কথা।

মৌসুমী লিখেছেন, সিলেটবাসীর কাছে ছুটে যেতে ইচ্ছে করে। হয়তো সুযোগ হলে যাব, আপনারা সবাই তাদের জন্য দোয়া করবেন। এর আগে দাম্পত্য দূরত্ব মিটে গেছে জানিয়ে ওমর সানী অনুরোধ জানিয়েছিলেন, মৌসুমীকে নিয়ে বাজে কোনো মন্তব্য না ছড়াতে। মৌসুমী ও তার দেওয়া বক্তব্যের কোনো কোনো জায়গায় এডিট করে তা প্রচার করা থেকে সরে আসার আহ্বান জানান সানী।

প্রসঙ্গত, এরআগে এক অডিওবার্তায় তিনি বলেন, গণমাধ্যমে আমার আগের দেওয়া বক্তব্য থেকে কিছু কিছু অংশ কেটে কেটে বাদ দিয়ে আপনারা অনেকে মৌসুমী ও আমাকে নিয়ে বাজে বাজে কথা প্রচার করছেন। শুধু তাই-ই নয়, আমার আর মৌসুমীকে নিয়ে নিজের মতো করে সংলাপ বানিয়ে কেউ কেউ তা প্রচার করছেন। এটি বিভ্রান্তিকর কাজ। এগুলো বাদ দেন। এগুলো থেকে অবশ্যই দূরে থাকুন। আমাদের মধ্যে যে সমস্যা ছিল, তা সবার দোয়া ও ভালোবাসায় মিটে গেছে। আমরা এখন একই ছাদের নিচে আছি, আমরা একসঙ্গে আছি এবং একঘরেই আছি। আমি, মৌসুমী, ছেলেমেয়ে ফারদিন, ফাইজা ও আমার ছেলের বউ আয়েশা আমরা একসঙ্গে আছি, ভালো আছি এবং সুখে আছি।