আইপিএলে নিজেদের পঞ্চম জয়ের দেখা পেয়েছে মুস্তাফিজুর রহমানের দল দিল্লী ক্যাপিটালস। সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের বিপক্ষে জয় পাওয়ার দিনে অবশ্য দিল্লীর একাদশে ছিলেন না কাটার মাস্তার মুস্তাফিজ।
এদিন প্রথমে ব্যাটিং করতে নামা দিল্লী শুরুটা খুব একটা ভালো করতে না পারলেও ডেভিড ওয়ার্নারের ব্যাটে চড়ে বড় সংগ্রহের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে। ৫৮ বল মোকাবেলায় ১২টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ওয়ার্নার অপরাজিত থাকেন ৯২ রানের ইনিংস খেলে। এছাড়া রভম্যান পাওয়েল ৩৫ বলে অপরাজিত থাকেন ৬৭ রানের ইনিংস খেলে।
নির্ধারিত ২০ ওভারে এদিন ৩ উইকেট হারিয়ে ২০৭ রানের বড় সংগ্রহ পায় দিল্লী ক্যাপিটালস।
জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নামা সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ অবশ্য দলীয় ৩৭ রানের মাথায় ৩ উইকেট হারিয়ে বসে। এইডেন মারক্রাম নিকোলাস পুরান মিলে দলকে এগিয়ে নিতে থাকে সামনের দিকে। তবে তা শেষ পর্যন্ত ধোপে টিকেনি।
২৫ বল মোকাবেলায় ৪টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে মারক্রাম ৪২ রানের ইনিংস খেলে সাজঘরে ফিরে গেলে ম্যাচের দায়িত্ব এসে বর্তায় পুরানের কাঁধে। ইনিংসের ১৮তম ওভার পর্যন্ত টিকে থাকা পুরান চেষ্টা চালিয়েছিলেন দিল্লীর বোলারদের তুলোধুনো করে ম্যাচ বের করে নিতে তবে তা আর সম্ভব হয়নি।
৩৪ বল মোকাবেলায় ৬২ রান করে পুরান সাজঘরের পথ ধরলে বাকি ব্যাটাররা আর ম্যাচ বের করতে পারেনি। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৮৬ রানে হায়দ্রাবাদের ইনিংস থামলে ২১ রানে ম্যাচ জিতে দিল্লী।
এদিকে এমন জয়ের পর দিলির অধিনায়ক রিশাব পান্ত জয়ের কৃতিত্ব দিয়েছেন দলের ব্যাটারদের। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, ‘’সবসময়ই উন্নতির জায়গা থাকে, ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে আজকে আমরা নিখুঁত ছিলাম।
আমার ক্ষেত্রে শান্ত থেকেছিলাম। বড় স্কোর তাড়া করতে প্রতি ওভারেই ১০-১২ রান করে নিতে হয় প্রতি ওভারে তা নেয়া সম্ভব হয় না। বোলারদের শান্ত থাকতে বলেছিলাম।
ওয়ার্নার যেভাবে ব্যাটিং করেছে ইনিংসে গতি এনেছে তা সেরা ইনিংসগুলোর মধ্যে একটি। আমি জানতাম পাওয়েল কি করতে পারে সে আজ খোলস ছেড়ে বেরিয়ে এসেছে। আমরা প্রতি ম্যাচেই নিজেদের শতভাগ দিয়ে খেলার চেষ্টা করেছি। আমি ফুলটস বলে আউট হয়েছি, এটা আসলে খেলারই অংশ। ম্যাচ জেতা আমাদের জন্য জরুরি।‘’