সাম্প্রতিক সময়ে সাদা পোশাকে টাইগার টপ অর্ডারের অবস্থা ভালো না হলেও, এশিয়ার বাইরে ব্যাটিং গড়ের দিক থেকে তালিকার শীর্ষে বাংলাদেশের ব্যাটাররাই।
বিরাট কোহলি ব্যাট হাতে এক নম্বরে থাকলেও, পরের দুটো জায়গা সাকিব এবং তামিমের। তবে, বল হাতে বিশ্ব সেরা ওয়ানডে অলরাউন্ডারের ধারেকাছে নেই কেউ।
দুই ভারতীয় স্পিনার জাদেজা এবং অশ্বিনের তুলনায় অনেকটাই এগিয়ে মিস্টার সেভেন্টি ফাইভ। দলটার অবস্থা ভালো নেই। টি-টোয়েন্টি বিশ্ব আসরের আরব আমিরাত পর্ব থেকেই কি যেন হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের।
ঘরের মাঠে রঙিন পোশাকে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে, দুবাই উড়াল দিয়েও যাচ্ছেতাই এক বিশ্বকাপ শেষ করে মাহমুদুল্লাহ বাহিনী। ফিরে এসে,
ঘরের মাঠে সাদা পোশাকেও অব্যাহত থেকেছে সেই ফর্ম।তবে, মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্ট নতুন করে আশা দেখাতে শুরু করেছিল দেশের ক্রিকেট সমর্থকদের। কিন্তু সময় যেতেই অনেকেই মন্তব্য করতে থাকে ওশেনিয়ার ইতিহাস ছিল ফ্লুক। কিছুদিন আগে পর্যন্ত এ কথার বিরোধীতা করার অনেকে থাকলেও, এখন মনে হয় না কেউ এর বিপক্ষে কথা বলবে।
ওশেনিয়া পর্ব শেষ করে আসার পর ৭ টেস্টের ৬টিতেই যে হারতে হয়েছে লাল সবুজের দলকে। আর তার চেয়েও বাজে অবস্থা দলটার ব্যাটারদের। ব্যাটিং করাটাই যেন ভুলে গেছেন এক থেকে তিন-চারে নামা ব্যাটাররা। মাহমুদুল হাসান জয় এক ম্যাচে ভালো করেন তো, পরের দু তিনটায় তাকে খুঁজেই পাওয়া যায় না।
আর মুমিনুল-শান্ত কবে শেষ রান করেছেন, তা তাদের নিজেদেরও মনে আছে কি না সন্দেহ। বাংলার ব্র্যাডম্যানের অবস্থা কতটা বাজে, সেটা বুঝতে একটা ছোট্ট পরিসংখ্যানই যথেষ্ট। আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ে এক সময় ১৮ নম্বরে থাকা ব্যাটারের বর্তমান অবস্থান ৬৬।তবে, এতো কষ্টের মাঝেও দলের সবচেয়ে বড় আস্থার নাম সাকিব আল হাসান।
অ্যান্টিগা ব্যর্থতার পরও, সবাই তাই আশায় বুক বেঁধে আছে হয়তো সেন্ট লুসিয়াতে দলের ভাগ্য বদলে দেবেন এই অলরাউন্ডার। যেখানে তার সঙ্গী হিসেবে হয়তো হাল ধরবেন তামিম ইকবাল। আর এই স্বপ্নের পেছনের কারণ একটা পরিসংখ্যান।সেনা কান্ট্রিতে রান করতে যখন হাপিত্যেশ ছুটে যায় সবার, সেখানে ব্যাট হাতে বেশ সফল বাংলাদেশের এই দুই ব্যাটার।
বিরাট কোহলি অ্যাভারেজে তাদের থেকে এগিয়ে থাকলেও, এশিয়ার বাইরে সেরা এশিয়ান ব্যাটারের দুই এবং তিন নম্বরে আছেন সাকিব আর তামিম।ব্যাট হাতে একজনের পেছনে থাকলেও, বল হাতে সাকিবের ধারেকাছেও নেই কেউ। ২৬ দশমিক পাঁচ আট অ্যাভারেজ নিয়ে সবার ওপরে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সুপারস্টার।
দুই তিনে আছেন ভারতীয়রা। একটা জায়গায় রবিন্দ্র জাদেজা, আর আরেকটায় রবিচন্দ্রন অশ্বিন।তবে, এই পরিসংখ্যান আর রেকর্ডের পাতায় থাকা সংখ্যার খেলা নিয়ে আগ্রহ নেই সাকিব আল হাসানের।
তিনি যে বরাবরই মাঠে দেখিয়ে দেয়ার লোক। মুখের কথার চেয়েও যার ব্যাট-বল কথা বলে উচ্চস্বরে।সে কারনেই হয়তো, সেন্ট লুসিয়াতে মুমিনুল কিংবা শান্তর একজনকে ড্রপ করবার সম্ভাবনা থাকলেও, এখনো সেটা নিয়ে কথা বলছেন না সুপারম্যান। কারণ, টি-টোয়েন্টিতে তামিমকে ফেরাতেও যে চেষ্টা চলছে নিরবে-নিভৃতে।