অবশেষে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের টেস্ট অধিনায়কের নাম ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।
বাংলাদেশ টেস্ট দলের অধিনায়ক মমিনুল হক সরে দাঁড়ানোর কারনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে বাংলাদেশ দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করবেন অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
তার সাথে সহ-অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করবেন জাতীয় দলের উইকেট কিপার ব্যাটসম্যান লিটন দাস। এই নিয়ে তৃতীয় বারের মতো বাংলাদেশ টেস্ট দলের দায়িত্ব পেলেন সাকিব আল হাসান।
লিটনকে অধিনায়ক করার বক্তব্যে যা বললেন সুজন
মিরপুরে শ্রীলংকার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে বাংলাদেশ ১০ উইকেটে হারলেও ব্যাট হাতে মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিম।
টেস্ট ব্যাটারদের র্যাংকিংয়ে পাঁচ ধাপ এগিয়ে ক্যারিয়ারসেরা ১২তম স্থানে ফিরেছেন লিটন। একই সঙ্গে তামিম ইকবালকে ছাড়িয়ে টেস্টে বাংলাদেশের ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ রেটিং পয়েন্টের নতুন রেকর্ড গড়েছেন এ কিপার-ব্যাটার।
অথচ দলের অধিনায়ক মুমিনুল হকের অবস্থা করুণ। অধিনায়কের বাজে পারফরম্যান্সের প্রভাব দলের অন্যদের ওপর পড়ে, তাই মুমিনুলের অধিনায়কত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
সমালোচনার মধ্যে অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিতে এক পায়ে দাঁড়িয়ে মুমিনুল।যদিও বাংলাদেশের সাদা জার্সির দলের পরবর্তী অধিনায়ক কে তা এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নির্ধারণ করেনি বিসিবি।
দুর্দান্ত ফর্মের কারণে সাকিব আল হাসানের পরে আলোচনায় এসেছে লিটন দাসের নাম। লিটনকে টেস্ট দলের নেতৃত্বে দেখতে চান অনেকেই। তবে এ বিষয়ে ভিন্নমত দিলেন জাতীয় দলের টিম ডিরেক্টর ও সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজন।
তার মতে, জাতীয় দলের অধিনায়কের দায়িত্ব লিটনের জন্য বড্ড তাড়াতাড়ি হয়ে যাবে।
সুজন বলেন, ‘এখনই বলাটা তাড়াতাড়ি হয়ে যায়। আমি বলল, লিটন বেশ পরিষ্কার মাথার ক্রিকেটার। ওর ক্রিকেট জ্ঞান খুব ভালো। কিন্তু লিটন খুবই অন্তর্মূখী ক্রিকেটার। আর অধিনায়কের বিষয়ে আমি সব সময় একজন বহির্মূখী ক্রিকেটার চাই। কারণ দায়িত্ব এমন একজনকে দিতে হবে যে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে পারে। ’
তবে ব্যাট হাতে অধিনায়কের পারফরম্যান্স বেশ গুরুত্বপূর্ণ, সেটিও জানালেন সুজন।
এ সাবেক অধিনায়ক বলেন, ‘ব্যাট হাতে রান করাটা বেশ জরুরি। মাঠের পারফরম্যান্স তো অবশ্যই লাগবে। আবার ড্রেসিংরুমের পরিবেশ সামলানোটাও গুরুত্বপূর্ণ। দলের সংস্কৃতির উন্নতি করাটাও জরুরি। আর এসব ক্ষেত্রে অধিনায়কের ভূমিকাটাই অনেক বেশি থাকে।’