সুবিধামতো উইকেট বানিয়ে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ক্ষতিই করেছে বাংলাদেশকে : রাসেল ডমিঙ্গো

বিগত কয়েক বছর ধরে ঘরের মাঠে টেস্ট ক্রিকেটে বেশ ভালো খেলছিল বাংলাদেশ। বিশেষ করে ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ঐতিহাসিক টেস্ট ম্যাচে জয় তারই প্রমাণ।

চন্ডিকা হাথুরুসিংহের সময় ঘরের মাঠের টেস্ট ক্রিকেটের সাফল্যের জন্য এক ফর্মুলা বের করেছিল বাংলাদেশ দল।

মাত্রাতিরিক্ত স্পিনিং উইকেট বানিয়ে তিন-সাড়ে তিন দিনে ম্যাচ জিতে নেওয়ার সেই পরিকল্পনায় বেশ সফলও হয়েছিল টাইগাররা।

কিন্তু কোচ পরিবর্তন হয়ে রাসেল ডোমিঙ্গো দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই ধীরে ধীরে বদলাতে শুরু করেছে এই পরিকল্পনা।বর্তমান হেড কোচ ডোমিঙ্গোর মতে,

নিজেদের সুবিধামতো উইকেট বানিয়ে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের মতো দলগুলোকে হারানোটা বরং ক্ষতিই করেছে বাংলাদেশকে।

কেননা অমন উইকেটে খেলে জেতার পর ভালো উইকেটে নামলে খাবি খেতে হচ্ছে টাইগারদের।তাই টেস্টে ভালো করতে ভালো উইকেটেই খেলার পক্ষে ডোমিঙ্গো।

শুক্রবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, “এটা (সুবিধামতো উইকেট বানিয়ে খেলা) হয়তো আমাদের একটা টেস্ট ম্যাচের জন্য সাহায্য করবে।

কিন্তু দীর্ঘ পরিসরের জন্য টেস্ট দল গড়তে সাহায্য করবে না।”ডোমিঙ্গো আরও যোগ করেন, “(ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে) আগের টেস্ট জয়গুলোর প্রতি সম্মান রেখে বলছি, ওই টেস্ট জয় আমাদের পরে হয়তো ক্ষতিই করেছে। কারণ এরপর ভালো উইকেটে যখন খেলেছি, তখন ভালো করিনি।

আমরা যদি স্পিন সহায়ক উইকেট বানিয়ে খেলি, এরপর ঘরের বাইরে ভালো উইকেটে খেলি, তাহলে আমাদের কোনো সুযোগই থাকবে না।”এসময় টেস্ট সংস্কৃতির জন্য ভালো উইকেটে খেলার বিকল্প নেই জানিয়ে তিনি বলেন, “আমাদের টেস্ট সংস্কৃতি গড়তে হলে, ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্সে উন্নতি আনতে হলে ভালো উইকেটে খেলতে হবে।

এই টেস্টের উইকেট ভালো ছিল। টেস্টের পঞ্চম দিন ফল এসেছে, ভালো উইকেট! চট্টগ্রাম ফ্ল্যাট ছিল। কিন্তু সেখানেও ফল হতে পারতো।”‘যত ভালো উইকেটে আমরা খেলবো,

ক্রিকেটারদের উন্নতিও তত ভালো হবে। আমি জানি সবাই জিততে চাচ্ছে। আমি জানি চটজলদি ফলাফলের সুযোগ আছে। বাজে উইকেটে খেলে প্রতিপক্ষকে ১০০ রানে অলআউট করে ফেলে আমরা ১২০ রান করবো। এভাবে খেললে দল উন্নতি করবে না। এভাবে খেলেও কিন্তু সিরিজ জিততে পারিনি”